প্রবীরের লাশ ৬ টুকরো করে ২১ দিন ট্যাঙ্কে রাখে পিন্টু

নিহত প্রবীর (বামে) ও পিন্টু (ডানে)

প্রবীরের লাশ ৬ টুকরো করে ২১ দিন ট্যাঙ্কে রাখে পিন্টু

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর চন্দ্র ঘোষকে হত্যার পর তার মৃতদেহ সেপটিক ট্যাঙ্কে রেখেছিল ঘাতক পিন্টু। হত্যার পর মৃতদেহটি কেটে ৬ টুকরো করে সে। মৃতদেহ সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলার পর রাতভর প্রেমিকার সঙ্গে ফোনে কথা বলে পিন্টু।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গেল ১৮ জুন রাতে প্রবীরকে খুন করার পর দোতলা থেকে নিচে নামে পিন্টু।

এরপর প্রায় ৪০ মিনিট প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলে। পিন্টু যখন প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলছিল, তখন তার ফ্ল্যাটে পড়েছিল প্রিয় বন্ধু প্রবীরের রক্তাক্ত লাশ। কথা বলার মাঝখানে বিরতি দিয়ে সে লাশ ৬ টুকরো করে সিমেন্টের বস্তায় ভরে। এরপর বস্তাসহ সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেয়।
এভাবে ২১ দিন নিজের ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাঙ্কে লাশ রেখে স্বাচ্ছন্দ্যে দিন কাটাচ্ছিল পিন্টু।

মামলার তদন্তকারী দলের সদস্য জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম জানান, খুব সুচতুর ও ঠাণ্ডা মাথার খুনি বলেই পিন্টু এতটা স্বাভাবিক ছিল। তিনি বলেন, ‘এ খুনের মূল কারণ জানা না গেলেও খুব শিগগিরই এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে পারবো। ’

সামান্য নকশাকার থেকে কোটি টাকার স্বর্ণের দোকানের মালিক বনে যাওয়া পিন্টু সম্পর্কে এরই মধ্যে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে চাঞ্চল্যকর নানা তথ্য। পিন্টু ২০ থেকে ২২ বছর ধরে এই স্বর্ণপট্টিতে রয়েছে। তার বাড়ি কুমিল্লার চন্দনপুরে। স্বর্ণালঙ্কারে নকশা করার কাজ শেখার মাধ্যমে তার এই লাইনে যাত্রা শুরু।

স্বর্ণ পোলিশ ও নকশার কাজ করতে গিয়ে প্রবীরের সঙ্গে পিন্টুর বন্ধুত্ব হয়। স্বর্ণ বিক্রি ও বন্ধক নিয়ে প্রবীর ও পিন্টুর মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্কও গড়ে ওঠে।

একটি সূত্র জানায়, ইতালি প্রবাসী ভাইয়ের পাঠানো প্রায় অর্ধ কোটি টাকা সুদের ব্যবসায় খাটিয়েছিল প্রবীর। আর এ ব্যবসার অংশীদার ছিল পিন্টু। ব্যবসার হিসাবপত্রও ছিল পিন্টুর কাছে। এই টাকা ফেরত দেয়া নিয়েই মূলত তাদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়।
 

অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর

সম্পর্কিত খবর