'বাবার সঙ্গে হানিপ্রীতকে নগ্ন অবস্থায় দেখেছি'

'বাবা' রাম রহিমের সঙ্গে হানিপ্রীত

'বাবার সঙ্গে হানিপ্রীতকে নগ্ন অবস্থায় দেখেছি'

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ধর্ষকগুরু গুরমিত রাম রহিম ও তার পালিত কন্যা হানিপ্রীতকে নিয়ে এরইমধ্যে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস হয়েছে। বাবা-মেয়ে সম্পর্কের আড়ালে তাদের মধ্যে অনৈতিক সম্পর্ক ছিল তা শুধু ডেরার লোকজনই নয়, হানিপ্রীতের শ্বশুরবাড়ির লোকজনও জানিয়েছে। এবার প্রকাশ্যে মুখ খুললেন হানির সাবেক স্বামী বিশ্বাস গুপ্ত। জানালেন, বাবার খাস কামরায় তাদের দু'জনকে নগ্ন অবস্থায় দেখেছেন তিনি।

এরপরই সিদ্ধান্ত নেন বিচ্ছেদের।

শুক্রবার এক প্রেস কনফারেন্সে হানিপ্রীতের স্বামী এসব কথা বলেন। বিশ্বাস গুপ্ত বলেন,''বাবার সঙ্গে একই বিছানায় ঘুমাতো হানিপ্রীত। ওদের শারীরিক সম্পর্ক ছিল।

আমি ‘বাবা’র সঙ্গে হানিপ্রীতকে নগ্ন অবস্থায় দেখেছি। ''

তিনি জানেন, ২০১১ সালে হঠাৎই ঘটে যায় এক অঘটন। বিশ্বাস তার নিজের ঘরেই ছিলেন। কিন্তু, ব্যক্তিগত কাজে বাইরে যাওয়ার দরকার পড়ে তার। বাবার ঘরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কেমন জানি সন্দেহ হয় তার। বন্ধ দরজায় হাত পড়তেই খুলে যায় তা। এর আগে বাবার সঙ্গে হানিপ্রীতকে অনেক ঘনিষ্ঠ দেখলেও ওই দিন প্রথম বিশ্বাস তার স্ত্রীর সঙ্গে বাবার অবৈধ সম্পর্ক দেখতে পান। দরজা খুলে গেলে এক অভাবনীয় দৃশ্য ভেসে ওঠে বিশ্বাসের চোখের সামনে। ঘরের ভেতরে অসামাজিক কাজে লিপ্ত তখন ‘বাবা ও তার কন্যা’। এটা দেখতেই বিশ্বাসের বুকের মধ্যে ঝড় শুরু হয়ে যায়।

এ ঘটনা দেখে ফেলায় বিশ্বাসকে প্রাণনাশের হুমকি দেন রাম রহিম। কিন্তু, বিশ্বাস তার পরিবারকে সব কথা খুলে বলেন। এরপর বাবার দুই ভক্ত ‘সুপারি’ নিয়ে বেরিয়ে পড়ে বিশ্বাসকে খুন করার জন্য।

সংবাদমাধ্যমকে বিশ্বাস গুপ্ত জানান, তাকে হত্যা করার জন্য যে দুটি ছেলেকে পাঠানো হয়, তারা জিজাজি (ভগ্নিপতি) বিশ্বাসকে খুবই ভালবাসত। ফলে, তারাই বিশ্বাসকে সাবধান করে। এও বলে যে আজ তাদের পাঠানো হয়েছে, পরে হয়তো অন্য কাউকে পাঠাবে ধর্ষক বাবা।

বিশ্বাস গুপ্ত জানান, দু’জনের অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ এনেই ২০১১ সালে বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করি। বিশ্বাসের অভিযোগ, এর পরেও তাঁর উপরে সর্বক্ষণ নজর রাখত গুরমিতের লোকেরা। শেষ পর্যন্ত পণের ‘ভুয়া’ মামলায় জড়িয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়েছিল তাঁকে।  

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, সংবাদ সম্মেলনে কথাগুলো যখন বলছিলেন, তখন বিশ্বাস গুপ্তের মধ্যে অজানা এক ভয় কাজ করছিল। আর সেটা মৃত্যেুর ভয়। তিনি বলেন, ‘‘এই যে আপনারা আমাকে দেখলেন, এর পরে আর দেখবেন কি না জানি না। ’’ তিনি বলেন, ‘‘গুরমিতের বিশাল ক্ষমতা। তা যতই লোকটা জেলে থাকুক না কেন। ’’

সম্পর্কিত খবর