যৌন হয়রানির অভিযোগে  শিক্ষক বরখাস্ত

প্রতীকী ছবি

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়

যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক বরখাস্ত

সৈয়দ নোমান • ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ত্রিশালস্থ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে একই বিভাগের তিন শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় রুহুল আমিনকে সাময়িক বরখাস্থ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়াও দায়িত্বে অবহেলার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জাহিদুল কবীরকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটিও গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

 

জানা যায়, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুহুল আমিন গেল চার বছর ধরে নানাভাবে উত্যক্ত করে আসছিল বলে অভিযোগ জানিয়েছেন একই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও দুই শিক্ষিকা।  

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, রুহুল আমিন মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) একাডেমিক কমিটির সভা শেষ হওয়ার পর বিভাগীয় প্রধানকে চোখ টিপ দিলে তিনি তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করেন।  

তার ভাষ্য, রুহুল আমিন এর আগেও তাকে বিভিন্ন এসএমএস, মেসেঞ্জারে অশ্লীল ছবি আপলোডসহ নানাভাবে হয়রানি করেছেন। এছাড়াও একই বিভাগের আরও দুই শিক্ষিকাকেও উত্যক্ত করে আসছিল রুহুল।

 

এ ব্যাপারে তারা সাবেক উপাচার্য মোহিত উল আলমের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন বলে ওই অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ (১৮ জুলাই) ভিসি স্বাক্ষরিত এক নোটিশে অভিযুক্ত শিক্ষক রুহুল আমিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। একই সাথে দায়িত্বে অবহেলার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জাহিদুল কবীরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।  

আর এ ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আজিজুল হককে প্রধান করে ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. একেএম জাকির হোসেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মাহবুবা কানিছ কেয়াকে সদস্য করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত রুহুল আমিন বলেন, ‘একাডেমিক সভায় ভালো রেজাল্টধারী শিক্ষার্থীদের মাস্টার্সে ফেল করিয়ে তাদের শিক্ষা জীবন ধবংস করতে চেয়েছিল বিভাগীয় প্রধানসহ কতিপয় শিক্ষক-শিক্ষিকা। আমি এর প্রতিবাদ করায় আমার বিরুদ্ধে এ রকম জঘন্য মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন তারা। ’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জাহিদুল কবীর জানান, ‘আমাকে কী কারনে অব্যহতি দিয়েছে আমি জানিনা। তবে আমি ঘটনা শোনার পরপরই শিক্ষিকার বাসায় গিয়ে খোঁজ নেয়ার চেষ্টা করেছি। ’

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘নারী শিক্ষকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছি এবং এ বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার ব্যাপারে প্রক্টর জাহিদুল কবীরের বিরুদ্ধে কয়েকজন শিক্ষক অভিযোগ করায় তাকেও অব্যাহতি দিয়েছি। তদন্ত কমিটি রিপোর্ট প্রকাশ করার পরে আমরা সিন্ডিকেটে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব। ’
 

নোমান/অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর

সম্পর্কিত খবর