সাতক্ষীরায় শিশু পাচারের দায়ে নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রতীকী ছবি

সাতক্ষীরায় শিশু পাচারের দায়ে নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

শাকিলা ইসলাম জুঁই • সাতক্ষীরা প্রতিনিধি 

প্রথম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে পাচারের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়ে এক নারীর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন সাতক্ষীরা আদালত।  

আজ (১৮ জুলাই) দুপুরে সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামি হলেন মোছাঃ আফরোজা ওরফে তাছলিমা খাতুন। তিনি সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুর গ্রামের নুর ইসলামের মেয়ে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, পরানপুর গ্রামের এক দিন মজুরের ৫ বছরের মেয়ে  ৮৬নং পরানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণিতে পড়তো। ২০০৩ সালের ৬ মার্চ সকাল ৮টার দিকে বাড়ি থেকে স্কুলে যায় সে। স্কুল শেষে সে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। সহপাঠী ময়না ও টুম্পার মাধ্যমে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারে যে, স্কুল শেষে তাকে খালা পরিচয়ে এক নারী মাঠ থেকে ডেকে নিয়ে যায়।

 

ওই রাতেই পুলিশ বৈশখালি গ্রামের লোকজন আফরোজাকে আটক করলেও কয়েকজন পালিয়ে যায়। উদ্ধার করা হয় শিশুকে।  

এ ঘটনায় উদ্ধার হওয়া ওই শিশুর দাদা বাদি হয়ে আফরোজা খাতুন, রতনপুর গ্রামের বাবু, বাবলু ও আবু হান্নানের নাম উল্লেখ করে পরদিন শ্যামনগর থানায় একটি পাচারের মামলা দায়ের করেন। ২০০৩ সালের ৩০ জুন এজাহারভুক্ত আসামিদের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন পুলিশ।

১০জন সাক্ষীর জবানবন্দি ও মামলার নথি পর্যালোচনা শেষে আসামি আফরোজা খাতুনের বিরুদ্ধে শিশু পাচারের অভিযোগ সন্দোহতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে উপরিউক্ত কারাদণ্ডাদেশ দেন। অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর তিনজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। আসামি আফরোজা বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু।  


শাকিলা/অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর

সম্পর্কিত খবর