স্তন ক্যান্সার হওয়ার কিছু কারণ

স্তন ক্যান্সার হওয়ার কিছু কারণ

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

স্তন ক্যান্সার নারী-পুরুষ উভয়েরই হতে পারে। তবে নারীদের মধ্যেই এর প্রবণতা বেশি দেখা যায়। এ রোগ বর্তমানে পশ্চিমা বিশ্বসহ বেশিরভাগ অঞ্চলের নারীদের মধ্যে রীতিমতো আতঙ্কের নাম। আর এর প্রকোপ দিন দিন বেড়েই চলেছে।

ইদানীং ক্যানসারের প্রচলিত ওষুধে কাজ হচ্ছে না। প্রচলিত বেশির ভাগ কেমোথেরাপিও এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। তবে আশার কথা হলো সঠিক সময়ে এর নির্ণয়ে আমরা সহজেই এর চিকিৎসা করতে পারি।

স্তন ক্যান্সারে নারীদের মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি।

সাধারণত ৫০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে এই ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এক হিসেবে দেখা যায় যুক্তরাজ্যে প্রতিবছর ৪১ হাজার নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন, সেই তুলনায় মাত্র ৩০০ জন পুরুষ এই রোগে আক্রান্ত হন।

কিন্তু দৈনন্দিন কিছু অভ্যাসের কারণে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।  তেমনই ৮টি খারাপ অভ্যাসের কথা জানুন।

১। স্তনের আকার অনুযায়ী সঠিক মাপের ব্রা ব্যবহার না করা স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। স্তনের আকারের চেয়ে বড় মাপের বক্ষবন্ধনী স্তনের টিস্যুগুলোকে ঠিকমত সাপোর্ট দিতে পারে না আবার অতিরিক্ত ছোট ব্রা স্তনের তরলবাহী লসিকাগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

২। সারাক্ষণ ব্রা পরে থাকার কারণে ঘাম হবার অসুবিধে, আর্দ্রতা জমে থাকা, সব মিলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। ঘরে থাকাকালীন ব্রা ব্যবহার না করার চেষ্টা করুন।

৩। প্লাস্টিকের বক্সে খাবার রাখা এবং বিশেষত সেটিতেই ওভেনে গরম করা স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। এর চেয়ে কাঁচের পাত্র ব্যবহার করুন। আর প্লাস্টিক ব্যবহার করতে চাইলে তা ফুড গ্রেড কিনা নিশ্চিত হয়ে নিন।

৪। ঘামের দূর্গন্ধ এড়াতে ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করেন প্রায় সবাই! কিন্তু এই ডিওডোরেন্ট কেনার সময় খেয়াল রাখুন কী কী উপাদান আছে এতে। এলুমিনাম বেসড উপাদান থাকলে তা স্তন ক্যান্সারের ঝুকি বাড়িয়ে দেয়। ডিওডোরেন্ট যেহেতু আপনি প্রতিদিন ব্যবহার করেন, তাই এ বিষয়ে সতর্ক হওয়া বিশেষ জরুরি।

৫। চুল পেকে যাওয়া বা হাল ফ্যাশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে চুলে নানা রঙের ব্যবহার, যেটিই হোক না কেন, দোকান থেকে সস্তার চুলের রং কিনে আনবেন না। এতে চুল তো পড়ে যেতে পারেই, সেই সঙ্গে এতে ব্যবহৃত ক্ষতিকর রাসায়নিকের কারণে হতে পারে স্তন ক্যান্সার। তাই ভালো ব্র্যান্ডের ভেষজ চুলের রং ব্যবহার করুন।  ভাল হয় মেহেন্দি ব্যবহার করলে। মেহেন্দি একদিকে যেমন চুলের জন্যে ভালো, সেই সঙ্গে এতে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

৬। ঘরের দূর্গন্ধ দূর করতে এয়ার ফ্রেশনারের ব্যবহার দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। কিন্তু এতে থাকা প্যাথালেট নামক প্লাস্টিসাইজিং রাসায়নিক যা সুগন্ধকে দীর্ঘস্থায়ী করতে সাহায্য করে, তার সঙ্গে স্তন ক্যান্সারের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। এর চেয়ে ফুটন্ত পানিতে এক টুকরো দারচিনি ফেলে দিন। এবার দেখুন, ঘরজুরে কি সুগন্ধই না ছড়াচ্ছে!

৭। আলমারির কাপড়-চোপড় পোকামাকড়ের হাত থেকে বাঁচাতে নেপথলিন ব্যবহার করেই থাকি। অনেকে আবার বাথরুমের দুর্গন্ধ এড়াতে বেসিনে, সিঙ্কেও নেপথলিন ফেলে রাখেন। কিন্তু এটি ক্ষতিকর কেমিকেল দিয়ে তৈরি, যা পোকামাকড় দূরে রাখে না, বরং আপনার স্তন ক্যান্সারের ঝুকিও বাড়িয়ে দেয়। এর চেয়ে নিমপাতা শুকিয়ে কাগজে মুড়িয়ে রেখে দিন। একই উপকার পাবেন।

৮। রান্নাঘরের সিঙ্ক বা কেবিনেট যে রঙিন তরল ক্লিনার দিয়ে পরিস্কার করছেন, তাতে থাকা কেমিকেল আপনার স্তন ক্যান্সারই নয়, মাইগ্রেন ও অ্যালার্জির প্রকোপও বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই কেমিকেলযুক্ত এই ক্লিনার ব্যবহার না করে ভিনেগার বা বেকিং সোডা দিয়ে পরিস্কার করতে পারেন।

সম্পর্কিত খবর