‘বড়পুকুরিয়ায় কয়লা সঙ্কট এক মাসের মধ্যে সমাধান হবে’

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু

‘বড়পুকুরিয়ায় কয়লা সঙ্কট এক মাসের মধ্যে সমাধান হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে কয়লা সঙ্কট এক মাসের মধ্যে সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।  

আজ (২৩ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বড়পুকুরিয়া নিয়ে বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের এই কথা জানান। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তিনি এই সঙ্কট সমাধানের বিষয়ে আর কিছু জানাননি।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী বড়পুকুরিয়া নিয়ে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহর সঙ্গে বৈঠক করেন।

উল্লেখ্য, কয়লা সঙ্কটের কারণে কাল (২২ জুলাই) রাতে বড়পুকুরিয়া কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সদস্য (জনসংযোগ) সাইফুল হাসান চৌধুরী জানান, এই কেন্দ্রের দুই ইউনিটের একটিতে ৮৫ মেগাওয়াট অন্যটিতে ২৭৫ মেগাওয়াট মিলিয়ে মোট ৩৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো। কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন এই বিদ্যুৎ ঘাটতিতে পড়তে হবে।  

news24bd.tv
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র

প্রতি বছর একবার শিফট পরিবর্তন করে কয়লাখনি কর্তৃপক্ষ।

কিন্তু শিফট পরিবর্তনের আগে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য পর্যাপ্ত কয়লা মজুদ রাখা হয়। এবারও পিডিবিকে ১ লাখ টনের বেশি মজুদ রয়েছে বলে খনি কর্তৃপক্ষ জানায়। গেল সপ্তাহে পিডিবির সদস্য (উৎপাদন) সাঈদ আহমেদ  বড়পুকুরিয়া খনি পরিদর্শন করে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকায় ১০ হাজার টন মজুদ পান।

পিডিবি জানায়, কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রর ৩টি ইউনিট একসঙ্গে চালানো হলে প্রতিদিন ৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন হয়। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে বিদ্যুৎ সঙ্কট তৈরি হতে পারে।



অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর

সম্পর্কিত খবর