রাঙামাটি মার্কেটে ভয়াবহ আগুনে নয়টি দোকান, তিনটি গুদাম ও তিনটি বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এসময় ক্ষতিগ্রস্ত হয় আরও ২০টির অধিক দোকান। মঙ্গলবার রাত দুটার দিকে শহরের বনরূপার কাটা পাহাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
রান্নাঘরের চুলা থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত বলে রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিস প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানায়, রাঙামাটি শহরের বনরূপা কাটা পাহাড় এলাকার বিআর অ্যান্ড সন্স মার্কেটের পাশে একটি খাবার হোটেল থেকে প্রথমে আগুন দেখা যায়। পরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আগুন চারপাশে ছড়িয়ে পরে। সে আগুন মুহূতে পাশের শপিংমল, কাপড়ের গুদাম ও বসতবাড়িতে লেগে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় স্থানীয়রা।
রাঙামাটির ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক মো. দিদারুল আলম জানায়, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তাদের এক সহকর্মী আহত হয়েছে। কষ্ট হলেও স্থানীয়দের সহায়তায় নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি একটি খাবার হোটেল থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়।
বিআর অ্যান্ড সন্স মার্কেটের মালিক প্রদীপ্ত চাকমা জানান, অগ্নিকাণ্ডে আমি ও আমার দুই ভাই শেষ হয়ে গেছি। আগুন সব কেড়ে নিয়েছে। কোন জিনিসপত্র রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
রাঙামাটি পৌর সভার প্যানেল মেয়র মো. জামাল উদ্দীন জানায়, বনরূপা কাটা পাহাড় এলাকার স্থানীয় বাসীন্দা দীমান চাকমা, প্রদীপ্ত চাকমা ও বীর বিক্রম চাকমা তিন ভাইয়ের মার্কেটে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এসময় মার্কেটের নয়টি দোকান তিনটি গুদাম ও তিনটি বাড়ি পুড়ে যায়। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রনায়ণ করা হয়েছে। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় ৮৭লাখ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের।
এদিকে তাৎক্ষনিক অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা, রাঙামাটি অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক এসএম শফি কামাল, রাঙামাটি সেনা জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল মো. রেদুওয়ান ইসলাম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান দরুন কান্তি চাকমা। তারা ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন।
