কুড়িগ্রাম-৩ আসনে জাপার প্রার্থী নির্বাচিত

অধ্যাপক ডাক্তার আক্কাছ আলী সরকার

কুড়িগ্রাম-৩ আসনে জাপার প্রার্থী নির্বাচিত

হুমায়ুন কবির সূর্য্য • কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রাম-৩ (উলিপুর-চিলমারী) শূন্য আসনের উপ-নির্বাচনে জাতীয় পার্টির অধ্যাপক ডাক্তার আক্কাছ আলী সরকার ৮২হাজার ৫৯৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগ প্রার্থী অধ্যাপক এম.এ মতিন পেয়েছেন ৭৯ হাজার ৮৯৫ ভোট। বিজয়ী প্রার্থী আক্কাছ মতিনের থেকে ২ হাজার ৭০৩ ভোট বেশি পান। রিটার্নিং কর্মকর্তা জিএম সাহাতাব উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

কুড়িগ্রাম-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে উলিপুর উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়ন এবং চিলমারী উপজেলার ৪টিসহ মোট ১৬টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৬৩ হাজার ৭৫জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭৬ হাজার ৪৭৭ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৮৬ হাজার ৫৯৮ জন। ভোট কেন্দ্র ছিল ১৫৯টি এবং ভোট কক্ষ ৭৬৭টি।

 

উলিপুর উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়নে ১৩০টি ভোট কেন্দ্রে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জাপা প্রার্থী পান ৭২ হাজার ৬২৮ ভোট এবং নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী প্রার্থী পান ৬১ হাজার ৪৬৮ ভোট।  

এদিকে, চিলমারী উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের ২৯টি ভোট কেন্দ্রে জাপা প্রার্থী পান ৯ হাজার ৯৭০ ভোট এবং নৌকা মার্কার প্রার্থী পান ১৮ হাজার ৪২৭ ভোট।

নির্বাচনে জাল ভোটের অভিযোগে ৩জনকে আটক করা হয়। এরা হলেন- উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের বাগুয়া এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে ইমরুল কায়েস (২৮), মৃত নেরকান মণ্ডলের ছেলে আক্কাছ আলী (৩৮) ও মোন্নাফ আলীর ছেলে শাহাজাহান (৩০)।  

অপরদিকে, নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে উলিপুর উপজেলার কাজিপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচপি কর্মকর্তা ও পোলিং এজেন্ট মিঠু চন্দ্র আজ ভোর ৬টায় মোটর সাইকেলযোগে আসার সময় উলিপুর শহরে ট্রাক্টরের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে মারা যান।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১১ মে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী এ কে এম মাইদুল ইসলামের মৃত্যুবরণ করলে কুড়িগ্রাম-৩ আসনটি শূন্য হয়। এই আসনে গেল ১০ জুন নির্বাচন কমিশন উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী ৪ জুলাই প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। আর ভোটগ্রহণ হয় আজ।

এবার কেন্দ্রগুলোতে ১৫৯ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৭৬৭ জন সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার ও ১ হাজার ৫৩৪ জন পোলিং এজেন্ট নিয়োগ দেয়া হয়।

শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ দমন ও আচরণ বিধি সংক্রান্ত অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য স্ট্রাইকিং ফোর্সের জন্য ২৬ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেন। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে রংপুর র‌্যাব-১৩’র ৩০টি টহল টিমের ৩৪৬জন সদস্য, কুড়িগ্রাম-২২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের ১৩ প্লাটুন বিজিবি’র ২৬৩জন জওয়ান এবং ২ হাজার ৩শ জন পুলিশ ও ২৫০ জন অস্ত্রধারী আনসার নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন।

 

সূর্য্য/অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর

সম্পর্কিত খবর