দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে শুরু হচ্ছে শতাব্দীর দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণ!

দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে শুরু হচ্ছে শতাব্দীর দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণ!

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

শতাব্দীর দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে শুক্রবার (২৭ জুলাই) মধ্যরাতে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ এটি দেখতে পারবেন। পৌনে দুই ঘণ্টা (১ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট) ধরে চাঁদ পুরোপুরি ঢেকে যাবে পৃথিবীর ছায়ায়।

মূলত সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদ একই সরলরেখায় চলে আসলে পৃথিবীর ছায়ায় চাঁদকে রক্তাভ দেখায়।

এ জন্যেই এই চাঁদকে ডাকা হয় ‘ব্লাড মুন’।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ১৩ মিনিট ৬ সেকেন্ডে শুরু হওয়া চন্দ্রগ্রহণ শেষ হবে ভোর ৫টা ৩০ মিনিট ২৪ সেকেন্ডে। এই গ্রহণ দেখার জন্য নানা আয়োজন করা হয়েছে গোটা বিশ্বে। ঢাকাতে বিজ্ঞান যাদুঘর ব্লাড মুন দেখার আয়োজন রেখেছে।

কোন জেলায় কখন চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে:

ঢাকা:

ঢাকার আকাশে চন্দ্রগহণ শুরু হবে রাত ১১টা ১৩ মিনিটি ৬ সেকেন্ডে। রাত ২টা ২১ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডে কেন্দ্রীয় গ্রহণ হবে। আর শেষ হবে ভোর ৫টা ৩০ মিনিট ২৪ সেকেন্ডে।

চট্টগ্রাম:

চট্টগ্রামে গ্রহণ শুরু হবে রাত ১১টা ৪ মিনিটি ৩৬ সেকেন্ডে। কেন্দ্রীয় গ্রহণ হবে রাত ২টা ১৩ মিনিট ১৮ সেকেন্ডে, শেষ হবে ভোর ৫টা ২৭ মিনিট ১২ সেকেন্ডে।

ময়মনসিংহ: 

রাত ১১টা ১৪ মিনিট ৬ সেকেন্ডে ময়মনসিংহে গ্রহণ শুরু হবে। কেন্দ্রীয় গ্রহণ হবে রাত ২টা ২৩ মিনিট ১৮ সেকেন্ডে। গ্রহণ শেষ হবে ভোর ৫টা ২৮ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে।

বরিশাল:

বরিশালে গ্রহণ শুরু হবে রাত ১১টা ১১ মিনিট ১৮ সেকেন্ডে। রাত ২টা ২০ মিনিটে কেন্দ্রীয় গ্রহণ হবে। আর গ্রহণ শেষ হবে ভোর ৫টা ৩২ মিনিটি ১২ সেকেন্ডে।

খুলনা:

খুলনায় গ্রহণ শুরু হবে রাত ১১টা ১৪ মিনিটি ৪২ সেকেন্ডে। কেন্দ্রীয় গ্রহণ হবে রাত ২টা ২৫ মিনিটি ৬ সেকেন্ডে। শেষ হবে ভোর ৫টা ৩৩ মিনিটি ৪২ সেকেন্ডে।

রাজশাহী: 

রাজশাহীতে রাত ১১টা ২০ মিনিটি ৫৪ সেকেন্ডে গ্রহণ শুরু হবে। কেন্দ্রীয় গ্রহণ হবে রাত ২টা ২৯ মিনিটি ৩৬ সেকেন্ডে, শেষ হবে ভোর ৫টা ৩৬ মিনিটি ৬ সেকেন্ডে।

রংপুর: 

রংপুরে গ্রহণ শুরু হবে রাত ১১ টা ২১ মিনিট ১২ সেকেন্ডে। রাত ২টা ২৯ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডে কেন্দ্রী গ্রহণ হবে, আর শেষ হবে ভোর ৫টা ৩১ মিনিটি ৩৬ সেকেন্ডে।

এছাড়া অন্যান্য জেলায় রাত ১১ টার কয়েক মিনিট আগে-পরে দেখা যাবে ব্লাড মুন।

news24bd.tv

ব্লাড মুন কি?

জোতির্বিজ্ঞানী ড. শ্যানন স্কমল জানান, সূর্যের আলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ছুঁয়ে খানিকটা ছাদে যায়, সেই আলো পৃথিবীতে আবার আসার পথে অন্যসব রঙ হারিয়ে লাল রঙটি এসে আমাদের চোখে পৌঁছায়। এ কারণে আজকের চাঁদ অনেকটা রক্তিম দেখা যাবে।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, চন্দ্রগ্রহণের সময় বরাবরই চাঁদ লাল রং ধারণ করে। এতে চাঁদের কোনো কিছুই পরিবর্তিত হয় না, বরং পৃথিবীর বাতাসকে আমরা কতটা দূষিত করেছি তা বুঝা যায়। চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদ গাঢ় লাল ধারণ করলে বুঝতে হবে বাতাসে প্রচুর পরিমাণে ধুলিকণা ভাসছে।

অরিন/news24bd.tv