রাজধানীতে গণপরিবহন চলাচল করতে দিচ্ছেন না শ্রমিকরা। তারা বলছেন, শিক্ষার্থীদের গাড়ি ভাঙচুরের প্রতিবাদে মালিক সমিতি আজ শুক্রবার ধর্মঘট ডেকেছে। কোনো গাড়ি চলতে দেওয়া হবে না।
এতে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বিচ্ছিন্নভাবে কিছু গাড়ি চললেও তা থামিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছেন শ্রমিকরা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।মিরপুর সাড়ে ১১-তে পরিস্থান পরিবহনের একটি গাড়ি থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দেন ১০-১২ জনের এক দল শ্রমিক। যাত্রীরা তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, 'মালিক সমিতির ধর্মঘট।
তবে মিরপুরের ডিসি (ট্রাফিক-পশ্চিম) লিটন কুমার সাহা বলেন, মালিক সমিতি এখনো ধর্মঘট ডাকেনি। তাদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারা ডাকতে চাইলে আমরা তাদের না করেছি।
এদিকে বাস না থাকায় সকাল থেকে বিভিন্ন স্পটে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে দেখা গেছে অনেক যাত্রীকে। সিএনজি চালিত অটোরিক্সাও কম।
রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজধানী। লাখো শিক্ষার্থী নেমে আসে রাস্তায়। বিভিন্ন সড়ক বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা গাড়ির লাইসেন্স যাচাই-বাচাই করে। মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, সচিব, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের গাড়ি আটকে কাগজপত্র পরীক্ষা করে। ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির কাগজপত্র ছাড়া রাস্তায় নেমে বিপাকে পড়েন অনেক বাস, ট্রাক, অটোর চালক। লাইসেন্সবিহীন চালককে নিয়ে রাস্তায় নেমে অনেক মন্ত্রী, এমপি, পুলিশ, রাজনৈতিক নেতাও বিপাকে পড়েন। সাময়ীকভাবে তারা বিব্রত হলেও পরে ভিডিওতে শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনকে সমর্থনও দিতে দেখা গেছে তাদের অনেককে। আন্দোলনের পঞ্চম দিনে রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল, রংপুর, বগুড়া, যশোরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় দিনভর বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। ৯ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার ছুটির দিনে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে গত রাতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নেতৃস্থাণীয় কয়েকজন জানান, সরকার দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়ায় শীঘ্রই তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করবেন। সরকারের আশ্বাস বাস্তবায়নের অপেক্ষা করবেন।
কিন্তু, শিক্ষার্থীরা আন্দোলন প্রত্যাহারের প্রস্তুতি নিলেও হঠাৎ শুরু হয়েছে পরিবহন শ্রমিকদের অঘোষিত ধর্মঘট। ধর্মঘটের কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। ঢাকার রাজপথে তেমন গণপরিবহন দেখা যায়নি। দূরপাল্লার বাসও ঢাকা থেকে ছেড়ে যায়নি।