অভিনেত্রী নওশাবার স্বীকারোক্তি

নওশাবা

অভিনেত্রী নওশাবার স্বীকারোক্তি

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে ফেসবুক লাইভে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ স্বীকার করেছেন অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ। এক স্কুলছাত্রের কাছ থেকে ফোনে তথ্য পেয়ে তথ্যের সত্যতা যাচাই না করেই শ্যুটিংস্পট থেকে ফেসবুক লাইভে গিয়ে তিনি এ গুজব ছড়ান বলে স্বীকার করেছেন।  

গতকাল শনিবার রাতে র‌্যাব সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন র‌্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান।

তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে না থেকেও ‌জিগাতলার ঘটনা নিয়ে উত্তরার একটি শুটিংস্পট থেকে ফেসবুক লাইভে যান নওশাবা।

মোবাইলফোনে পাওয়া খবরের উপর ভিত্তি করে তিনি ফেসবুক লাইভে ওই গুজব ছড়ান যা মুহূর্তের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।  

জিজ্ঞাসাবাদে নওশাবা র‌্যাবকে জানিয়েছে, রুদ্র নামে একটা ছেলের সাথে গত ৩ আগস্ট তার পরিচয় হয় শাহবাগে। তারপর থেকে রুদ্রের সাথে তার যোগাযোগ হয় এবং চলমান আন্দোলন সম্পর্কে আপডেট জানতে পারেন। সেই সূত্রে রুদ্রের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার নওশাবা ফেসবুক লাইভে যায়।

নওশাবাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে জানিয়ে মুফতি মাহমুদ খান বলেন, নওশাবা ফেসবুক লাইভে গুজব ছড়িয়ে যে অপরাধ করেছে সে অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এর আগে শনিবার দুপুরে ফেসবুক লাইভে আসা এই অভিনেত্রীকে রাতে উত্তরা থেকে আটক করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাত সাড়ে ১০টার দিকে র‌্যাব-১ এর কার্যালয়ে আনা হয়।

ফেসবুক লাইভে কী বলেছিলেন নওশাবা?
ভাইরাল হওয়া ভিডিও ক্লিপে নওশাবা বলেন, 'আমি কাজী নওশাবা আহমেদ, আপনাদের জানাতে চাই। একটু আগে ঝিগাতলায় আমাদেরই ছোট ভাইদের একজনের চোখ তুলে ফেলা হয়েছে এবং দুইজনকে মেরে ফেলা হয়েছে। আপনারা সবাই একসাথে হোন প্লিজ। ওদেরকে প্রোটেকশন দেন, বাচ্চাগুলো আনসেভ অবস্থায় আছে, প্লিজ। আপনারা রাস্তায় নামেন, প্লিজ রাস্তায় নামেন, প্লিজ রাস্তায় নামেন এবং ওদেরকে প্রোটেকশন দেন। ' 

'সরকার প্রোটেকশন দিতে না পারলে আপনারা মা-বাবা, ভাই-বোন হয়ে বাচ্চাগুলোকে প্রোটেকশন দেন, এটা আমার রিক্যুয়েস্ট। এদেশের মানুষ-নাগরিক হিসেবে আপনাদের কাছে রিক্যুয়েস্ট করছি যে, ঝিগাতলায় একটি স্কুলে একটি ছাত্রের চোখ তুলে ফেলা হয়েছে এবং দুইজনকে মেরে ফেলা হয়েছে এবং ওদের অ্যাটাক করা হয়েছে। ছাত্রলীগের ছেলেরা সেটা করেছে। প্লিজ ওদের বাঁচান প্লিজ। তারা ঝিগাতলায় আছে। '

সম্পর্কিত খবর