পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের মানববন্ধন
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের আদিবাসী স্বীকৃতি ও অপপ্রচার বন্ধের দাবিতে

পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের মানববন্ধন

ফাতেমা জান্নাত মুমু  • রাঙামাটি

সরকার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিলেও নিজেদের আদিবাসী দাবি করে তারা রাষ্ট্র বিরোধী অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে- এমন অভিযোগ করে রাঙামাটিতে মানববন্ধন করেছে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ।  

আজ (৮আগস্ট, বুধবার) দুপুরে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনের সংগঠনটির উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের নেতা-কর্মীসহ স্থানীয় নারী-পুরুষ বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে অংশগ্রহণ করেন।  

পার্বত্য নাগরিক পরিষদ রাঙামাটি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক এনায়েতুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন যুব ফ্রন্ট রাঙামাটি শাখার উপদেষ্টা কাজী জালোয়া, রাঙামাটি যুব ফ্রন্টের সভাপতি আব্দুল মান্নান রানা, পার্বত্য শ্রমিক পরিষদ রাঙামাটি শাখার সভাপতি রাসেল ইসলাম সাগর, পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ রাঙামাটি শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান, পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ খাগড়াছড়ি শাখার সাধারণ সম্পাদক মাসুম রানা প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, যুগ যুগ ধরে পার্বত্যাঞ্চলে বাঙালিরা বসবাস করে আসছে। পাহাড়ে প্রথম আবাদ হয়েছে বাঙালিদের হাতে। এরপরও বাঙালিরা কোনো দিন আদিবাসী স্বীকৃতি চায়নি। কিন্তু ভারত-মিজোরাম-মিয়ানমার থেকে আগত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা পার্বত্যাঞ্চলে নিজেদের আদিবাসী হিসেবে দাবি করে।

অথচ সরকার তাদের সাংবিধানিকভাবে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা করে দিয়েছে। এসব ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা সরকারের দেওয়া বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে নিজেদের আদিবাসী দাবি করে রাষ্ট্র বিরোধী অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।  

বক্তারা আরও বলেন,আদিবাসী শব্দটি উপজাতি বা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শব্দের নিছক প্রতিশব্দ নয়। আইএলও কনভেশন-১৬৯ আর্টিকেল এবং আদিবাসী বিষয়ক জাতিসংঘ ঘোষণাপত্র ২০০৭- এর আলোকে দেশের স্বার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে আদিবাসী শব্দটির গুরুতর নেতিবাচক তাৎপর্য রয়েছে।  

উপজাতিরা আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি পেলে বাংলাদেশি স্বার্বভৌমত্বের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মত পোষণ করেন বক্তারা।

 

মুমু/অরিন/news24bd.tv

সম্পর্কিত খবর