‘পাহাড়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের আদিবাসী স্বীকৃতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে’

‘পাহাড়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের আদিবাসী স্বীকৃতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে’

আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবসে আলোচনা সভায় ঊষাতন তালুকদার
ফাতেমা জান্নাত মুমু  • রাঙামাটি

সরকারের সদিচ্ছা থাকলেও বিভিন্ন স্বার্থবাদী মহলের ষড়যন্ত্রের কারণে পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের আদিবাসী স্বীকৃতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহ-সভাপতি ও সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার।  

তিনি বলেন, ‘১৯৯৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে রেজুলেশন ৮৯/২১৪ গ্রহণ করে ৯ আগস্ট আদিবাসী দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সে থেকে এ দেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা আনুষ্ঠানিকভাবে আদিবাসী দিবস পালন করে আসছে। কারণ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরাই এ দেশের আদিবাসী।

তাই সংবিধান সংশোধন করে দেশের সমতল ও পাহাড়ের ৩০ লক্ষাধিক জনগোষ্ঠীদের আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে। ’

আজ (৯ আগস্ট, বৃহস্পতিবার) সকাল ১১টায় রাঙামাটি পৌরসভা চত্বরে আন্তর্জাতিক আদিবাসী উদযাপন কমিটির উদ্যোগে ও  ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি), সনাক রাঙামাটি জেলা শাখার সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ঊষাতন তালুকদার।

news24bd.tv

বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমার সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন সনাক রাঙামাটি জেলা শাখার আহবায়ক চাঁদ রায়, সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক থোয়াই অং মারমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম আদিবাসী লেখক ফোরামের সভাপতি শিশির চাকমা, রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রিতা চাকমা, সনাকের সাবেক সদস্য নিরুপা দেওয়ান প্রমুখ।  

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহ-সভাপতি ও সংসদ সদস্য উষাতন তালুকদার আরও বলেন, ‘পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষর পর পার্বত্যাঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা সরকারের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেলেও পায়নি আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি।

তাই সংরক্ষণ করা যাচ্ছেনা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের ভাষা, রীতি-নীতি, ঐতিহ্য ও সংষ্কৃতি। স্বীকৃতি না পাওয়ার কারণে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মৌলিক অধিকার পদদলিত হচ্ছে। ’

তিনি পার্বত্যাঞ্চলের মানুষের উন্নয়ন ও অস্তিত্ব ধরে রাখতে যাদের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী হিসেবে পরিচয় দেওয়া হয়েছে, তাদের সাংবিধানিকভাবে আদিবাসী স্বীকৃতি দিতে সরকারের কাছে আহবান জানান।

news24bd.tv

আলোচনা সভা শেষে রাঙামাটির ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। পার্বত্যাঞ্চলে ১০ভাষাভাষির ১১টি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী- চাকমা, মারমা, খুমী, ম্রো, চাক, বম, খিয়াং, তঞ্চঙ্গ্যা, অহমিয়া, পাংখোয়া ও ত্রিপুরা তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে এ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে।  

শোভাযাত্রটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে গিয়ে শেষ হয়।

মুমু/অরিন/news24bd.tv

সম্পর্কিত খবর