বিমানবন্দর থেকে ৯শ স্যামসাং মোবাইল উধাও!

বিমানবন্দর থেকে ৯শ স্যামসাং মোবাইল উধাও!

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

হংকং থেকে আমদানি করা ৯শ স্যামসাং মোবাইলের হদিস পাচ্ছে না আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এক্সেল টেলিকম প্রাইভেট লিমিটেড। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে আসা মোবাইলগুলো পণ্য সংরক্ষণাগার থেকে চুরি হয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

হংকং থেকে ৫টি প্যালেট (১ প্যালেটে ৯শ মোবাইল থাকে) আমদানি করা হয়েছে বলে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি দাবি করলেও বাংলাদেশ বিমান কর্তৃপক্ষ ৪টি প্লেট আমদানি করার কথা বলছে। চুরি যাওয়া মোবাইলের মধ্যে ৩টি হ্যান্ডসেট বাংলাদেশে ব্যবহৃত হচ্ছে এমনটা জানিয়ে এয়ারপোর্ট থানায় একটি মামলাও করেছে এক্সেল টেলিকম।

মামলা সূত্রে জানা যায়, মোবাইল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি গেল ৬ জুলাই হংকং থেকে স্যামস্যাং SM-J600GZBGBNG মডেলের ৫টি প্যালেট মোবাইল আমদানি করে (ইনভয়েস নম্বর ৯০১২৫৩৬১৮৩)। সেগুলো ৮ জুলাই বাংলাদেশ বিমানের ই-ওয়াই ৯৮০৭ বিমানে করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। পরে তা বাংলাদেশ বিমানের তত্ত্বাবধানে ম্যানওয়ার হাউস-২ তে সংরক্ষিত ছিল।

১২ জুলাই আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মনোনীত সিএন্ডএফ এজেন্ট মমতা ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেড ঢাকা কাস্টমসসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষে মোবাইল ছাড় করাতে গেলে সেখানে ৯শ মোবাইলের হদিস পায়নি।

মোবাইলগুলো ৮ জুলাই থেকে ১২ জুলাই এর মধ্যে অজ্ঞাত চোরেরা ম্যানওয়ার হাউস-২ থেকে চুরি করে নিয়েছে বলে ধারণা করছে প্রতিষ্ঠানটি।

দীর্ঘ এক মাস পর গেল ৬ আগস্ট মোবাইলগুলোর নাম্বার (আইএমই) সংগ্রহ করে থানায় মামলা করা হয়। মোবাইলগুলোর বাজার মূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এক্সেল টেলিকমের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ কর্মকর্তা (লজিস্টিক) সাইফুর রহমান জানান, ‘মোবাইল ফোনের ৫টি প্যালেট আমরা আমদানি করেছিলাম। ৪টি বুঝে পেলেও একটি প্যালেট (৯শ মোবাইল) পাওয়া যায়নি। আমরা স্যামস্যাংয়ের হেড অফিস থেকে জানতে পেরেছি তিনটি হ্যান্ডসেট দেশে ব্যবহৃত হচ্ছে। পুলিশকে এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে। সেই বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। ’

সাইফুর রহমান আরও বলেন, ‘মোবাইল ফোনগুলোতে সিম ঢুকিয়ে সেট চালু করলে একটা মেসেজ আসে। সেই মেসেজ আমরা পেয়েছি এবং সেখানেই দেখা যাচ্ছে মোবাইলগুলো দেশে ব্যবহৃত হচ্ছে। আমাদের আমদানি করা ৫টি প্যালটের সবকটির কাগজপত্র আছে। আমি নিশ্চিত, ফোনগুলো চুরি হয়েছে। ’

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এয়ারপোর্ট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজন ফকির জানান, ‘আমরা অভিযোগ পাওয়ার পরই মোবাইলের আইএমই নাম্বার পুলিশের বিশেষ শাখায় পাঠিয়েছি। সেগুলো দেশের কোথাও ব্যবহৃত হচ্ছে কিনা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তদন্তের জন্য বাংলাদেশ বিমানের তত্ত্বাবধানে ম্যানওয়ার হাউস-২ গিয়ে তাদের কাছে বেশ কয়েকদিনের সিসিটিভি ফুটেজ চাওয়া হয়েছে। ’

‘বিমান বাংলাদেশ বলছে তারা মোবাইলের ৪টি প্যালেট পেয়েছে। কিন্তু আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের কাছে ৫টি প্যালেটের কাগজপত্র ও প্রমাণ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। আসল রহস্য উদঘাটনে কিছুটা সময় লাগবে। ’

এ বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কেউ কথা বলতে রাজি হননি।  


অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর

সম্পর্কিত খবর