পঞ্চাশ পেরিয়ে কি গর্ভধারণ সম্ভব?

গর্ববতী মা।

পঞ্চাশ পেরিয়ে কি গর্ভধারণ সম্ভব?

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

৩০ বছর বয়সের আগেই নারীদের গর্ভধারণে উৎসাহিত করা হয়। কারণ, ৩০ বছর পেরুনোর পর সন্তানধারণের ক্ষেত্রে নারীদের বেশ কিছু শারীরিক জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়।  

আসুন জেনে নেওয়া যাক, বেশি বয়সে নারীদের গর্ভধারণে কী বলছে আধুনিক চিকিত্সা বিজ্ঞান।

মেনোপজের পর গর্ভধারণ: গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৯০ সালের পর থেকে ৪০ বছরের বেশি বয়সী নারীর সন্তান ধারণের প্রবণতা বাড়তে শুরু করেছে।

বিশেষ করে আধুনিক চিকিত্সা বিজ্ঞানের সহায়তায় আইভিএফ (IVF) বা টেস্টটিউব বেবি-র প্রযুক্তি জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় ৪০ বছর বয়সের পরে তো বটেই, ৫০ বছর বয়স পেরিয়েও মহিলারা গর্ভধারণে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

৪০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে মেনোপজ (রজঃনিবৃত্তির) পর নারীদের গর্ভধারণের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। কিন্তু বয়স কম থাকতেই যদি নারীরা নিজেদের ডিম্বাণু হিমায়িত করে রাখেন, তবে ৪০ বা ৫০ বছরের পর সে হিমায়িত ডিম্বানুকে নিষিক্ত করে তাঁরা পরে আবার গর্ভধারণ করতে পারেন। আবার অন্য নারীর ডিম্বাণু ব্যবহার করেও তাঁরা আবার গর্ভধারণ করতে পারেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেয়ার ফার্টিলিটি গ্রুপ আইভিএফ ক্লিনিকের ড: জ্যানিন এলসন জানান, বেশি বয়সে সন্তান ধারণ সম্ভব হলেও এতে বেশ কিছু ঝুঁকি সত্যিই থাকে। তাঁদের মাতৃত্বকালীন ডায়াবেটিস, প্রি-এক্লাম্পশিয়া উচ্চ কোলেস্টেরল এবং ব্রেস্ট ক্যান্সারের সম্ভাবনা থাকে। তবে তাঁদের সাধারণত (ব্রেস্টফিডিং) করাতে কোনও সমস্যা হয় না।

বেশি বয়সে মা হওয়ার আরেকটি সমস্যা হলো, পারিবারিক ও সামাজিক সমর্থনের অভাব। যদি কোনও নারী বেশি বয়সে সন্তানধারণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন, সেক্ষেত্রে তাঁকে নানা বাধার সম্মুখীন হতে হয়। সন্তানের ভবিষ্যত্, শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি, প্রসবকালে মৃত্যু, গর্ভস্থ সন্তানের শারীরিক জটিলতা ইত্যাদি নানা বিষয় উঠে আছে আত্মীয়-স্বজন বা প্রতিবেশিদের আলোচনায়।

চিকিত্সকদের মতে, এই ধরনের আলোচনায় নারীরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। সন্তান ধারণের সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসেন। তাই বর্তমান আধুনিক চিকিত্সা বিজ্ঞানের সহায়তায় এবং পারিবারিক সমর্থনে ৪০ বা ৫০ বছরের পরও সন্তান ধারণ সম্ভব।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর