নাটোরের বনপাড়ার দাঁইড়পাড়া এলাকায় শিশু অপহরণকারী হিসেবে আটক হওয়া অ্যাম্বুলেন্স চালক করিম প্রামাণিকের (৪০) নিঃশর্ত মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন পাবনা জেলা মাইক্রোবাস চালক সমিতি ও পরিবারের লোকজন।
আজ (১০ আগস্ট, শুক্রবার) দুপুরে বনপাড়াস্থ কেন্দ্রীয় প্রেসক্লাবে সমিতির নেতৃবৃন্দ ও পরিবারেরর ঘনিষ্ঠজনেরা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে পাবনা জেলা মাইক্রোবাস চালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম লিখিত বক্তব্যে জানান, বুধবার (৮ আগস্ট) সকালে পাবনা থেকে স্থানীয় জমজম মেডিকেল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের একটি অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে চালক করিম প্রামাণিক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান।
সেখানে ওই রোগী নামিয়ে দিয়ে বনপাড়া পৌরশহরের আরেকটি রোগী নিয়ে তিনি ফিরে আসেন।
সন্ধ্যার দিকে পাবনায় ফেরার পথে দাঁইড়পাড়া এলাকায় পৌঁছালে কে বা কারা ঢিল ছুঁড়ে অ্যাম্বুলেন্সের গ্লাস ভেঙ্গে দেয়। চালক করিম অ্যাম্বুলেন্স থামিয়ে কাছেই ৫-৬ বছরের একটি শিশুকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে গেলে ওই শিশু ভয়ে চিৎকার দিয়ে ওঠে।শিশুটির আর্তনাদে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে কিছু না বুঝেই শিশু অপহরণকারী সন্দেহে তাকে ধরে বেদম মারপিট করে ও অ্যাম্বুলেন্সটি ভাঙচুর করে।
খবর পেয়ে বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
করিম প্রামাণিক পাবনা শহরের পশ্চিম সাধুপাড়া মহল্লার ইজিবার প্রামাণিকের ছেলে। ঘটনাস্থলে থাকা জাহিদুল ইসলাম নামে জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় এক নেতা নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চালক করিমের কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। এ টাকা না পাওয়ায় তারই ইন্ধনে করিমকে অপহরণকারীর অপবাদ দিয়ে মারধর করা হয় ও অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর করা হয়।
এ ব্যাপারে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জুয়েল বলেন, ‘স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে করিমকে আটক করা হয়েছে। তবে তদন্ত করে নির্দোষ প্রমাণিত হলে আদালত অবশ্যই তাকে মুক্তি দিবেন। ’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জমজম মেডিকেল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের দুই পরিচালক হাকিম আহম্মেদ ও ওয়াজেদ আলী খান এবং করিমের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় হুমায়ুন কবির ও শাহিন আলম।
নাসিম/অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর