দেবরের সঙ্গে প্রেম টিকিয়ে রাখতে স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন ঘাতক স্ত্রী রুনা আকতার (২৮)।
রোববার চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল আলমের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে রুনা আকতার বলেছেন, পরকীয়া প্রেমিক জাহেদের সঙ্গে নতুন ঘর বাঁধার স্বপ্নে স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন তারা।
রাউজান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইমুল ইসলাম বলেন, ‘রোববার দুই আসামি রুনা ও জাহেদকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদানের জন্য চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করা হয়। দু’জনেই হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
রুনা আক্তার আদালতকে বলেছেন, শুক্রবার রাতে রুনা তার স্বামী আবুল হাসেমকে গরুর দুধের সঙ্গে দুটি ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ান। হাসেম ঘুমিয়ে পড়ার পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে জাহেদকে ঘরে ডেকে আনেন তিনি। এরপর রাত তিনটার দিকে হাসেমের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তিনি ও জাহেদ মিলে টান দেন।
এসআই সাইমুল বলেন, দেবর জাহেদের সঙ্গে নিহতের স্ত্রী রুনার পরকীয়া সম্পর্ক ছিল।
এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে রোববার নিহত আবুল হাসেমের মরদেহ দাফন করা হয়। এর আগে এই ঘটনায় শনিবার রাতে নিহতের ভাই আবুল কাশেম বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় নিহতের স্ত্রী রুনা আকতার ও তার পরকীয়া প্রেমিক জাহেদুল ইসলাম জাহেদকে আসামি করা হয়েছে।
১৩ বছর আগে নিহত আবুল হাশেমের সঙ্গে ফটিকছড়ি উপজেলার আব্দুল্লাপুর গ্রামের ছগির আহমেদের মেয়ে রুনা আকতারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে আবুল হাসেম দীর্ঘ সময় প্রবাসে কাটিয়ে গত ১৫ দিন আগে দেশে ফিরেছেন। এদিকে আবুল হাসেম প্রবাসে থাকার সময় রুনার সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে নিহতের চাচাতো ভাই জাহেদের।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)
