'আয়োজকরা অনেক বড় ভুল করেছে'

মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি

'আয়োজকরা অনেক বড় ভুল করেছে'

মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি

'মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ' প্রতিযোগিতায় বিজয়ী নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক এখন তুঙ্গে। এখানে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে ২০ বছর বয়সী তরুণী জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল। আগামী ১৮ নভেম্বর চীনের সানাইয়া শহরে অনুষ্ঠেয় ৬৭তম মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় তিনি বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন।

অভিযোগ উঠেছে চ্যাম্পিয়ন হওয়া জান্নাতুল নাঈম বিচারদের পছন্দের তালিকায় সেরা তিনজনের মধ্যেও ছিলেন না। অথচ বিচারকদের রায় পাল্টে আয়োজক প্রতিষ্ঠান অন্তর শো বিজের চেয়ারম্যান স্বপন চৌধুরী 'মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ' হিসেবে জান্নাতুল নাঈমের নাম ঘোষণা করেন। যা দেখে ক্ষুব্ধ বিচারকদের মধ্যে থেকে কেউ কেউ অনুষ্ঠান ছেড়ে উঠে চলে যান।

news24bd.tv

বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে নিজের অভিজ্ঞতা আর মতামত জানিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সাবেক মিস আর্থ ইন্টারন্যাশনাল মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি।

তিনি লিখেছেন-

''২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতা মিস আর্থ চলার সময়েও আমার একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল। আয়োজক বিচারকদের বিজয়ী তালিকা থেকে আমার নাম বাদ দিয়েছিল এবং পুরো তালিকাটাই বদলে ফেলেছিল।

(কিছুই নতুন নয়। সবাই এরইমধ্যে আমার গল্পটা জেনে গেছে)

যাই হোক, বেশিরভাগ সময়ই সুন্দরী প্রতিযোগিতায় আয়োজকরা প্রভাব কিংবা নিয়ন্ত্রণ খাটানোর চেষ্টা করে। বিচারকদের রায়কে অগ্রাহ্য করে। এটা অনেকবারই হয়েছে।

কিন্তু এক্ষেত্রে (বাংলাদেশের মিস ওয়ার্ল্ড আয়োজন) আমি ভাবছি, যেহেতু এটা প্রথম আয়োজন, কীভাবে তারা (আয়োজক কর্তৃপক্ষ) এত বড় ঝুঁকি নিতে পারে এমন কাউকে বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতায় পাঠাতে, যে তার দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্যই নয়, যে পদক জিতেছে তার যোগ্য সে নয় এমনকি তার দেশের মানুষ তাকে সেরা সুন্দরীই মনে করে না।

যাই হোক, চূড়ান্ত ঘোষণার আগে তারা (আয়োজক) বিচারকদের কাছে কয়েকটি নাম প্রস্তাব করতে পারতো যারা জাতীয় এ পদকটি জেতার জন্য তুলনামূলকভাবে বেশি যোগ্য। সুনামের জন্য হলেও, এই শিল্পে নিজেদের ভবিষ্যতের জন্যও।

আমি অবশ্যই বলবো, আয়োজকরা অনেক বড় ভুল করেছে। যদি কেউ আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার আয়োজকদের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করে তাহলে তারা নিজেদের লাইসেন্স হারাবে যেটি দেশের জন্য লজ্জা বয়ে নিয়ে আসবে। আর আমরাও এটা আশা করি না। ''

আরেকটি ফেসবুক পোস্টে প্রিয়তি লেখেন, ''নাক গলানোর জন্য দুঃখিত , বিশ্বমঞ্চে দেশের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে কথা গুলো বলতে হচ্ছে ।

কোন প্রতিযোগী যদি তার previous marital status লুকিয়ে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করে থাকে, তাহলে সেই প্রতিযোগীর সম্পূর্ণ দোষ এবং দায়ভার তারই , আয়োজকের নয়, যদি আয়োজকেরা তাদের প্রচারণায় নীতিমালা বিষয়গুলো স্পষ্ট করে উল্ল্যেখ করে থাকেন। সেই ক্ষেত্রে আয়োজকরা যদি পরবর্তীতে প্রমান সহকারে জানতে পারেন যে, কোন প্রতিযোগী ফ্রড করেছেন বা প্যাজেনট অর্গানাইজেশন বিধি নীতি-মালা ভঙ্গ করেছেন বা False Statement দিয়ে থাকেন, তাহলে প্যাজেনট Authority এর পূর্ণ অধিকার আছে সেই প্রতিযোগী কে বহিষ্কার করা বা টাইটেল ছিনিয়ে নেয়া।

এখন কথা হচ্ছে, একেক প্যাজেনট অর্গানাইজেশন এর একেক পলিসি অথবা রুলস ফলো করে । Miss World প্যাজেনট পলিসি অনুযায়ী, কোন প্রতিযোগী priviously married বা divorced বা নিজের সন্তান থাকলে অর্থাৎ সন্তান প্রসব করে থাকলে তাহলে সে MISS World division এ অংশগ্রহন করতে পারবে না । তিনি MS. World or MRS. World Division এ অংশ নিতে পারবেন।

আয়োজকদের প্রতি অনুরোধ রইলো , আপনারা যেহেতু দেশের মেয়েদের এতো বড় সুযোগ করে দিচ্ছেন , প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দিচ্ছেন এতো বছর পর বিশ্ব মঞ্চে নিজের দেশকে উপস্থাপন করার, তাহলে যোগ্য কোন প্রতিযোগীকে পাঠান who truly deserve this national title , প্রয়োজনে অনলাইন ওপেন পাবলিক ভোট এর ব্যবস্থা করতে পারেন।  

কেননা, Miss World authority যদি পরবর্তীতে জানতে পারেন যে কোন fraud করা হয়েছে , she will be kicked out from the show and we will never want it. এইটি আমাদের দেশের জন্য অসম্মান ও লজ্জা বয়ে আনবে। একটু ভাবুন, অনেক ইংলিশ নিউজ অলরেডি পাবলিশড হয়ে গিয়েছে।
PS: I am not against anybody or any contestant. Everyone is unique and everyone has their own quality & talent in the various compartments. But, we need to figure out who suppose to fit in that particular compartment as per the requirements.''

 

(প্রিয়তির ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

এই রকম আরও টপিক

সম্পর্কিত খবর