ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর আড়ালে আসছে ইয়াবা

ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর আড়ালে আসছে ইয়াবা

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলমান মাদকবিরোধী অভিযানের মধ্যেই কখনো ফলের গাডিতে, কখনো ডাবের ভেতরে করে, কখনো বা বাসে বিশেষভাবে তৈরি চেম্বারে ইয়াবা আসার খবর দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।  

এবার ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর আড়ালে বাহক কিংবা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ঢাকায় ইয়াবা আসার খবর দিলো র‌্যাব।

কক্সবাজার ও টেকনাফ থেকে একটি সিন্ডিকেট নির্ধারিত কিছু লোকের মাধ্যমে অভিজাত এলাকায় নেয়া ভাড়া বাসায় ইয়াবা মজুদ করে। এ ইয়াবা বাণিজ্যে জড়িত ব্যবসায়ীরা আকাশপথে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে নিয়মিত যাতায়াত করছেন।

পরিবারের সকলে মিলেই ইয়াবা ব্যবসা করে আসছিলেন। আর লেনদেন করতেন হুন্ডি ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে।

কাল রাজধানীর এ্যালিফ্যান্ট রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে টেকনাফ এলাকার অন্যতম শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী জহির আহমেদ ওরফে মৌলভী জহিরসহ (৬০) এ সিন্ডিকেটের ৬ সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব।

আজ (১৬ আগস্ট, বৃহস্পতিবার) দুপুরে কারওয়ান বাজারস্থ র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান।

আটককৃত অন্যরা হলো- ফয়সাল আহম্মেদ (৩১), মমিনুল আলম (৩০), মিরাজ উদ্দিন নিশান (২১), তৌফিকুল ইসলাম সানি (২১) ও সঞ্জয় চন্দ্র হালদার (২০)।  

এ সময় তাদের কাছ থেকে ২ লাখ ৭ হাজার ১০০ পিস ইয়াবা এবং মাদক বিক্রির ৭ কোটি ২৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

news24bd.tv

মুফতি মাহমুদ খান বলেন, এ্যালিফ্যান্ট রোডের একটি বিলাসবহুল বাসার নিচ থেকে ফয়সাল, মিরাজ, সানি ও সঞ্জয়কে ৩৫ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে জহির ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী মমিনুলকে আটক করা হয়। ওই বাসা এবং তাদের তথ্য দেয়া অপর একটি বাসা থেকে বাকি ইয়াবা ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়।

news24bd.tv

আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি বলেন, জহিরের পুরো পরিবার ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। জহির ও তার বড় ছেলে বাবু (২৮) বিগত ৫-৬ বছর ধরে ঢাকার বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় বাসা ভাড়া করে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে আসছে।

গেল এপ্রিলে বাবুকে ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে আটক করে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। বাবুই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে চাঞ্চল্যকর তথ্য দেয়।  

মৌলভী জহির ছাড়াও তার স্ত্রী, মেয়ে, বড় জামাতা আব্দুল আমিন, জামাতার ভাই নুরুল আমিনসহ টেকনাফের আরও কয়েকজন এ সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত। তাদেরকেও আটকের চেষ্টা চলছে।

 

অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর

সম্পর্কিত খবর