দৌলতদিয়ায় পারাপারের অপেক্ষায় ৬শ যান

দৌলতদিয়ায় পারাপারের অপেক্ষায় ৬শ যান

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট। প্রতিদিন এ রুট দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের হাজার হাজার যানবাহন ও যাত্রী নদী পারাপার হয়ে থাকে। ঈদে পশুবাহী ট্রাক যোগ হওয়ায় এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় কয়েকগুণ।

সম্প্রতি পদ্মায় পানি বৃদ্ধি ও তীব্র স্রোত দেখা দেয়ায় ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

এছাড়া শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটের বাড়তি যানবাহন ও ঈদের অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে দৌলতদিয়ার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে প্রতিনিয়তই সৃষ্টি হচ্ছে যানবাহনের সারি।  

আজ (১৮ আগস্ট, শ‌নিবার) সকাল ১১টার দি‌কেও ঘাটে ৬ শতা‌ধিক যানবাহন নদী পারের সি‌রিয়া‌লে আটকে র‌য়ে‌ছে।

জানা গেছে, এই নৌ-রুটে চলাচলকারী প্রায় সবগুলো ফেরি অনেক পুরাতন। ফলে স্রোতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ফেরিগুলো চলতে পারে না।

এছাড়া মাঝে মধ্যেই বিকল হয়ে যাচ্ছে ফেরিগুলো। মেরামতে সময়ও লাগছে বেশ।  

যাত্রীরা জানান, সারাবছরই এ রুটে যাত্রী ভোগান্তি হয়। বর্ষা মৌসুম আর ঈদে ভেগান্তি হবে- এটা এখন তারা মেনে নিয়েই আসা-যাওয়া করেন। তবে বর্ষা শুরু আর ঈদের কয়েকদিন আগে কর্তৃপক্ষ তাদের দুর্ভোগ লাঘবে তোড়জোড় শুরু করেন। এ সমস্যা সমাধানে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা করা উচিত।

গরু ও পণ্যবাহী ট্রাকের চালকরা জানান, গরুবাহী ট্রাকগুলোর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সিরিয়াল দিলেও আগের ট্রাকগুলো না পারাপার হওয়া পর্যন্ত সিরিয়ালে তো থাকতেই হয়। এ সময় গরমে অনেক গরু অসুস্থ হয়ে পড়ে। আর অসুস্থ হওয়া গরুর ভালো দাম পাওয়া যায় না। এতে করে ব্যবসায়ীদের অনেক লোকসান গুনতে হয়।

এদিকে, পণ্যবাহী ট্রাকগুলো ঘণ্টার পর ঘণ্টা সিরিয়ালে আটকে থাকে। অনেক পণ্য গরমে পচে যায় এবং নির্দিষ্ট সময় গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে না। ফলে বাড়তি টাকা গুনতে হয় তাদের।

বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে দৌলতদিয়া-পটুরিয়া নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে থাকছে ২১টি ফেরি ও ৩৩টি লঞ্চ এবং ফেরি ভেড়ার জন্য রয়েছে ৬টি ঘাট। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে যাত্রীবাহী পরিবহন ও গরুবাহী ট্রাক। এছাড়া ঈদের আগের ৩দিন, ঈদের দিন ও ঈদের পরের ৩ দিনসহ মোট ৭ দিন বন্ধ থাকবে পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, অতিরিক্ত গাড়ির চাপে নদী পারের অপেক্ষা দীর্ঘ হচ্ছে। প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে এবং সবগুলো ফেরি সচল থাকলে আসন্ন ঈদে ঘরমুখো মানুষ ও পশুবোঝাই যানবাহন পারাপারে কোনো সমস্যা হবে না।
 


অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর

সম্পর্কিত খবর