শিক্ষকের হাতে ছাত্রীর শ্লীলতাহানি!

প্রতীকী ছবি

শিক্ষকের হাতে ছাত্রীর শ্লীলতাহানি!

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

শিক্ষক তার নিজের অর্জিত শিক্ষা, জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা দিয়ে গড়ে তোলেন শিক্ষার্থীদের। এ শিক্ষা দান ও গ্রহণের মধ্য দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে গড়ে ওঠে এক নিবিড় সম্পর্ক।  

কেমন হওয়া উচিত ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক? শিক্ষার এই আধুনিক যুগে আমরা উত্তর দিয়ে থাকি- ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক হবে বন্ধুর মতো।

কিন্তু সেই শিক্ষক যদি ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করে, তাহলে এর থেকে ন্যাক্কারজনক আর কী হতে পারে? 

সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার ব্যাঁটরা এলাকায়।

ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ধৃত শিক্ষকের নাম মৃণাল চক্রবর্তী।

যৌন নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, হেম চক্রবর্তী লেনের কোচিং সেন্টারে ওই ছাত্রী পড়তে যান। এ সময় একা থাকার সুযোগ নিয়ে ওই শিক্ষক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করে।

এ ঘটনার পর ওই ছাত্রী বাড়িতে এসে পুরো ঘটনার কথা তার পরিবারকে জানায়।  

এরপর ঘটনাটি ছাত্রীর পরিবারের লোকজন শোনা মাত্রই শিক্ষকের বাড়িতে গিয়ে তার ওপর চড়াও হয়। অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে রাস্তায় এনে মারধর করে ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা।

জানা যায়, শিক্ষককে ব্যাপক মারধরের পর তার পরিবার ওই ছাত্রীর পরিবারের বিরুদ্ধেও ব্যাঁটরা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে৷ গৃহে অনাধিকার প্রবেশ, সীমালঙ্ঘন, ক্ষতিসাধন, ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করা এবং বেআইনিভাবে জড়ো হওয়া- এসব কারণ দেখিয়ে ছাত্রীর পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে শিক্ষকের পরিবার।

এদিকে, ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষক মৃণাল চক্রবর্তীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গেল সপ্তাহে হাওড়া আদালতে তোলা হয় তাকে। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন এবং অশালীন আচরণের মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরে এ মামলায় আদালত ধৃত শিক্ষককে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।


অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর

সম্পর্কিত খবর