খাগড়াছড়িতে সংঘর্ষ: নিহত বেড়ে ৭

খাগড়াছড়িতে সংঘর্ষ: নিহত বেড়ে ৭

জহুরুল আলম • খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ-এর দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭ জনে দাঁড়িয়েছে।  আজ (১৮ আগস্ট,শনিবার) সকাল সোয়া ৯টার দিকে সদর উপজেলার স্বনির্ভর এলাকায় গোলাগুলিতে ৬ জন নিহত হন।  পরে বিকেল সাড়ে ৩টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থান মারা যান এক পথচারী।

তার পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

ঘটনার সময় দৌঁড়ে পালাতে গিয়ে ওই পথচারী পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন। তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন খাগড়ছড়ি সদর হাসপাতালের আরএমও।  

সকালে ঘটনায় স্বনির্ভর বাজার পুলিশ বক্সেও গুলি লাগে।   ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধদের লাশ উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।

নিহতরা সবাই ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) প্রসিত বিখাশ গ্রুপের সদস্য বলে জানা গেছে। নিহতদের মধ্যে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তপন চাকমাও (২৩) রয়েছেন। তপন ছাড়া আরও নিহত আরও ৩ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- এলটন চাকমা (২৮), জিতায়ন চাকমা (৫২) ও বরুন চাকমা (২৬)।

আহতরা হলেন- সমর বিকাশ চাকমা (৪৮), সুকিরন চাকমা (৩৫) ও সোহেল চাকমা (২২)। গুলিবিদ্ধ ৩জনকে চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) রেফার করা হয়েছে।  

ইউপিডিএফ-এর জেলা সমন্বয়কারী মাইকেল চাকমা ঘটনার জন্য সংস্কারপন্থী জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করেছে। অবশ্য জনসংহতি সমিতি অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

এ ব্যাপারে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শহরের স্বনির্ভর বাজার এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে,ইউপিডিএফের প্রসিত গ্রুপ ও ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক গোলাগুলিতে জড়িয়েছে।  

ওই এলাকার বাসিন্দা ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সদস্য অমল বিকাশ ত্রিপুরা জানান, ‘আমরা আতঙ্কগ্রস্ত অবস্থায় আছি। ঘর থেকে বের হতে পারছি না। ’

খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাৎ হোসেন টিটু বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।


জহুরুল/অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর

সম্পর্কিত খবর