ইমরানের শপথ অনুষ্ঠানে যাওয়ায়...

ইমরানের শপথ অনুষ্ঠানে যাওয়ায়...

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

পাকিস্তানের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া ও সেখানকার সেনাবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে আলিঙ্গন করায় ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও কংগ্রেস নেতা নভজোত সিং সিধুকে দল থেকে বহিষ্কার করার দাবি জানিয়েছে বিজেপি।

বিজেপি’র সংখ্যালঘু সেলের পক্ষ থেকে সিধুকে ‘দেশদ্রোহী’ আখ্যা দিয়ে তার ফাঁসি হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করা হয়েছে।

নভজোত সিং সিধু বর্তমানে ভারতের পাঞ্জাব সরকারের মন্ত্রী। সাবেক ক্রিকেটার ও ইমরান খানের বন্ধু হিসেবে আমন্ত্রণ পেয়ে তিনি ওই শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্র শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর উদ্দেশ্যে সিধুকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, কংগ্রেস নেতা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে আলিঙ্গন করেছেন যিনি ভারতে সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করার জন্য দায়ী।

'মোদি ভুল না করলে সিধুও করেননি'   
এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের ‘ভাষা ও চেতনা সমিতি’র সম্পাদক ও কোলকাতার প্রেসিডেন্সী কলেজের সাবেক অধ্যাপক ড. ইমানুল হক রোববারবলেন, ‘কথায় আছে ‘পাগলে কী না বলে ছাগলে কী না খায়’। তবে ‘সেয়ানা পাগল’ সবকিছু বলে না, সেয়ানা ছাগলও সব  কিছু খায় না।

বিজেপি’র মুখপাত্র হচ্ছেন একজন ‘সেয়ানা পাগল’। তিনি খেয়াল রাখেন না যে, বিজেপি নেতা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিনা নিমন্ত্রণে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন যা আজ পর্যন্ত কোনো দেশের কেউ কখনো করেননি। সেখানে যাওয়ার পরে তিনি নওয়াজ শরীফকে আলিঙ্গন করেছিলেন। নওয়াজ শরীফকে আলিঙ্গন করা মোদির যদি দোষের না হয়, তাহলে সিধু কী ভুল করলেন? প্রধানমন্ত্রীই তো দেখিয়েছেন, অন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী বা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে আলিঙ্গন করা যায় এবং সেটা খুব যে ভুল, তা আমি মনে করি না। আলিঙ্গন করে মোদি যেমন কোনো ভুল করেননি, তেমনি সিধুও কোনো ভুল করেননি। ’

তিনি বলেন, ‘মোদি যে কথায় কথায় বিদেশ সফরে গিয়ে নানাজনের সঙ্গে আলিঙ্গন করেন, ট্রাম্পের সঙ্গে আলিঙ্গন করেন, যে আমেরিকা হচ্ছে ভারতের সবচেয়ে বড় শত্রু, সেদেশের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আলিঙ্গনে কোনো দোষ নেই! সিধু যা করেছেন তাহল সৌজন্যমূলক কাজ। যিনি ওকে বরখাস্ত করার দাবি তুলেছেন, সবার আগে তার দলের প্রধানমন্ত্রীর দিকে আঙুল তোলা উচিত। কিন্তু সেই হিম্মত তাদের নেই এবং কোনোদিন তা হবেও না। নিজের দলের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ওরা করমর্দন পর্যন্ত করতে পারেন না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বিদেশে গিয়ে অনেক লোকের সঙ্গে করমর্দন করেন। ’

এদিকে, রোববার পাকিস্তান সফর শেষে দেশে ফিরে সিধু পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের আতিথেয়তার উচ্ছসিত প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানে অনেক ভালোবাসা ও স্নেহ পেয়েছি। এটা একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। গোটা জীবনে যা পাইনি, দুদিনে তাই পেয়েছি!’

ইমরান খানের শপথ অনুষ্ঠানে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রেসিডেন্টের পাশে বসা প্রসঙ্গে সিধু বলেন, ‘আমি সেখানকার মেহমান ছিলাম, তারা যেখানে আমাকে বসিয়েছে আমি সেখানেই বসেছিলাম। ’

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর