কেরালায় খাদ্যের জন্য হাহাকার

কেরালায় খাদ্যের জন্য হাহাকার

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় পানির নিচে দক্ষিণ ভারতের রাজ্য কেরালা। খাবার ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে হাহাকার করছে রাজ্যবাসী। বন্যা দুর্গত মানুষ যতটুকু ত্রাণ সহায়তা পাচ্ছেন, তা দু’বেলাতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। আবার অনেক দুর্গম এলাকায় ঠিকমতো ত্রাণ পৌঁছাচ্ছে না।

 

তবে আজ (২০ আগস্ট, সোমবার) থেকে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। বানভাসি জেলাগুলোর পানি নামতে শুরু করেছে ধীরে ধীরে। এতে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন কেরালাবাসী।  

এরইমধ্যে রাজ্যে চূড়ান্ত সতর্কবার্তা (রেড অ্যালার্ট) তুলে নিয়ে সহনীয় পর্যায়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

কিছু এলাকায় ধীরে ধীরে শুরু হচ্ছে যানবাহন চলাচলও। সব মিলিয়ে শতাব্দীর অন্যতম ভয়াবহ দুর্যোগের মধ্যেও কিছুটা আশার আলো দেখছে কেরালা।

ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কেজে আলফোন্স জানিয়েছেন, প্রায় ১০ লাখ ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। সেনা, এনডিআরএফ রাজ্য প্রশাসনের উদ্যোগকে বিশ্বের বৃহত্তম উদ্ধার কাজ বলে মন্তব্য করেছেন আলফোন্স। তিনি বলেন, ‘দুর্যোগ কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে- এখনই এমনটা বলা যাবে না। তবে উদ্ধারকাজে বিন্দুমাত্র গাফলতি করা হচ্ছেনা। ’

news24bd.tv

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছিলেন, রাতারাতি ত্রাণশিবির যেমন বাড়ছে, তেমনই ত্রাণশিবিরে বাড়ছে দুর্গতের সংখ্যা। তিনি আরও জানান, কেরালার পাশে দাঁড়িয়েছেন অন্যান্য রাজ্যসমূহের মুখ্যমন্ত্রী। তারা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

এখনও গোটা কেরালা কার্যত পানির নিচে। মৃত বেড়ে ৪শতে ঠেকেছে। বানভাসি ৬ লক্ষাধিক। ৩ হাজার ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন দুর্গতরা। শনিবারই আকাশপথে পরিস্থিতি পরিদর্শন করে ৫০০ কোটি টাকা ত্রাণের ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

এদিকে, দেশ-বিদেশের বহু মানুষ ও সংগঠন দুর্গতদের ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছেন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধার ও ত্রাণকার্য। এনডিআরএফ ও ৩ বাহিনী কাজ করছে। আকাশপথেও চলছে উদ্ধার। নামানো হয়েছে ৩৮টি হেলিকপ্টার।

উল্লেখ্য, ৮ আগস্ট থেকে বন্যা শুরু হওয়ার পর এই প্রথম সব জেলা থেকে রেড অ্যালার্ট তুলে নিল ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সূত্র: এনডি টিভি

অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর

সম্পর্কিত খবর