ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সুশৃঙ্খল করতে গণ পরিবহনের দৃশ্যমান জায়গায় চালক-হেল্পারদের নাম-ছবি, মোবাইল ও লাইসেন্স নম্বর ঝুলিয়ে রাখাসহ ৪টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন আজ (২০ আগস্ট, সোমবার) থেকে শুরু হয়েছে।
ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তন আনার লক্ষে গেল বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) ১৭টি সিদ্ধান্ত নেয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এসব সিদ্ধান্তের কিছু বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে মাঠে নেমেছেন পুলিশ, বিআরটিএ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
কাল রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর থেকে শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি পর্যন্ত ২০টির বেশি স্থান পরিদর্শন করেছেন তারা।
রাজধানীর কোন জায়গায় আন্ডারপাস ও ফুটওভার ব্রিজ, ইউলুপ নির্মাণের প্রয়োজন রয়েছে, এমন স্থান চিহ্নিত করেছেন তারা।তবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ওই নির্দেশনা সময়োপযুগী ও যুগান্তকারী বলে প্রশংসা করা হলেও তা বাস্তবায়ন সময়সাপেক্ষ বলে মনে করেন পরিবহন মালিক সংগঠনের নেতারা।
তারা বলেছেন, এ সিদ্ধান্ত অন্তত ঈদের আগে পুরোপুরি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। ঈদের পর দুই মাসের মধ্যে কাছের ও দূরপাল্লার সব ধরনের গণ পরিবহনের চালক-হেল্পার জীবনবৃত্তান্ত ঝুলিয়ে রাখার কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব।
বেপরোয়া বাসের চাপায় গেল ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ২ শিক্ষার্থী নিহত হবার ঘটনায় টানা আন্দোলন করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। সপ্তাহখানেক অচল হয়ে পড়েছিল ঢাকা। প্রায় বিচ্ছিন্ন ছিল রাজধানী। আন্দোলন থেকে শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল নিরাপদ সড়কের। এ জন্য ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব শিক্ষার্থীরা হাতে তুলে নিয়েছিল।
আন্দোলন শেষে সচল হয় ঢাকা। শুরু হয় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে নানা হিসাব-নিকাষ। সরকারের কৌশলী অবস্থান, দ্রুত শিক্ষার্থীদের দাবি দাওয়া পূরণে খোদ প্রধানমন্ত্রী আশ্বস্ত করার পর বদলাতে থাকে পরিস্থিতি। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর সিদ্ধান্তের কথা জানান দেয় সরকার। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তন আনতে এক ডজন নির্দেশনা দেয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর