কোরবানি করার আদর্শ সময়

প্রতীকী ছবি

কোরবানি করার আদর্শ সময়

ধর্ম ডেস্ক

যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আগামীকাল বুধবার সারা দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি বিধানে যার যার সামার্ধ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করবেন। কেউ ঈদের নামাজ পড়েই কোরবানি করবেন, কেউ আবার ঈদের দ্বিতীয় বা তৃতীয় দিন কোরবানি করবেন। কোন সময়টি পশু কোরবানির জন্য আদর্শ? এ নিয়ে ইসলামে সুনির্দিষ্ট বিধান রয়েছে।

মাসআলা : কোরবানির সময় হলো, যিলহজ মাসের ১০ তারিখ থেকে ১২ তারিখ সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত মোট তিন দিন। সবচেয়ে উত্তম হলো, প্রথম দিন
কোরবানি করা, এরপর দ্বিতীয় দিন, এরপর তৃতীয় দিন। (বাদায়েউস সানায়ে ৫/৭৩; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২৯৫)

মাসআলা : যেসব এলাকায় জুমা ও ঈদের নামায ওয়াজিব, সেসব এলাকায় ঈদের নামাযের আগে কোরবানি করা জায়েয নয়। অবশ্য অধিক বৃষ্টিবাদল বা অন্য কোনো ওজরে যদি প্রথম দিন ঈদের নামায না হয় তাহলে সূর্য পশ্চিম দিকে ঢলার পর প্রথম দিনেও কোরবানি করা জায়েয হবে।

(বাদায়েউস সানায়ে ৫/৭৩, রদ্দুল মুহতার ৬/৩১৮)

হযরত বারা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেন, ঈদের দিন আমরা প্রথমে নামায আদায় করি, অতঃপর
ফিরে এসে কোরবানি করি। যে ব্যক্তি এভাবে আদায় করবে সে আমাদের নিয়মমতো করল। আর যে নামাযের আগেই পশু জবাই করল, সেটা তার পরিবারের জন্য গোশত হবে, এটা কোরবানি হবে না। (সহীহ বুখারী, হা. ৫৫৪৫)

মাসআলা : ১০ ও ১১ যিলহজ দিবাগত রাতেও কোরবানি করা জায়েয। তবে দিনে কোরবানি করাই উত্তম। (বাদায়েউস সানায়ে ৫/৭৩, কাযীখান ৩/৩৪৫, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩২০)

মাসআলা : কোনো ব্যক্তি কোরবানির দিনগুলোতে ওয়াজিব কোরবানি আদায় করতে না পারলে, কোরবানির পশু ক্রয় না করে থাকলে তার ওপর কোরবানির উপযুক্ত একটি ছাগলের মূল্য সদকা করা ওয়াজিব। আর যদি পশু ক্রয় করেছিল, কিন্তু কোনো কারণে কোরবানি দেওয়া হয়নি তাহলে ওই পশু জীবিত সদকা করে দেবে। (বাদায়েউস সানায়ে ৫/৬৮, ফাতাওয়া কাযীখান ৩/৩৪৫)

মাসআলা : ঈদুল আজহার দিন সর্বপ্রথম নিজ কোরবানির গোশত দিয়ে খানা শুরু করা সুন্নাত। অর্থাৎ সকাল থেকে কিছু না খেয়ে প্রথমে কোরবানির গোশত খাওয়া সুন্নাত। এই সুন্নাত শুধু ১০ যিলহজের জন্য। (জামে তিরমিযী, হা. ৫৪২, আদ্দুররুল মুখতার ২/১৭৬)

সম্পর্কিত খবর