আগামীকাল ২২ আগস্ট ঈদুল আজহা। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা যে যার সাধ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করবেন। অনেকে আগেই কোরবানির পশু কিনে রেখেছেন, আবার অনেকে শেষ দিনে কিনে থাকেন। কেউ কেউ না জেনে কোরবানির পশুকে দিয়ে বিভিন্ন কাজ করিয়ে নেন।
ইসলাম বলছে- এটা করা জায়েজ নয়।মাসআলা : কোরবানির পশু কেনার পর বা নির্দিষ্ট করার পর তা থেকে উপকৃত হওয়া জায়েজ নয়। যেমন হাল চাষ করা, আরোহণ করা, পশম কাটা, দুধ দোহন করা ইত্যাদি। সুতরাং, কোরবানির পশু দ্বারা এসব করা যাবে না, যদি করে তবে পশমের মূল্য, হালচাষের মূল্য ইত্যাদি সদকা করে দেবে।
মাসআলা : কোরবানির পশুর দুধ পান করা যাবে না। যদি জবাইয়ের সময় আসন্ন হয় আর দুধ দোহন না করলে পশুর কষ্ট হবে না বলে মনে হয় তাহলে দোহন করবে না। প্রয়োজনে ওলানে ঠান্ডা পানি ছিটিয়ে দেবে। এতে দুধের চাপ কমে যাবে। যদি দুধ দোহন করে ফেলে তাহলে তা সদকা করে দিতে হবে। নিজে পান করে থাকলে মূল্য সদকা করে দিবে। (মুসনাদে আহমদ ২/১৪৬, ইলাউস সুনান ১৭/২৭৭, রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৯, কাযীখান ৩/৩৫৪, আলমগীরী ৫/৩০১)