ঈদের ছুটিতে বিনোদন পেতে কোথায় যাবেন!

ফাইল ছবি

ঈদের ছুটিতে বিনোদন পেতে কোথায় যাবেন!

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

ঈদুল আজহায় নানা কারণে গ্রামের বাড়ি যেতে পারেনি অনেক পরিবার। আবার স্থায়ী বাসিন্দা হওয়াতে ঢাকাতেই রয়েছেন অনেকে। ঈদের এই ছুটিতে ঢাকা হারিয়েছে চিরায়ত চেহারা। ফাঁকা এই শহরে অনেকেই একঘেয়ে হয়ে উঠছেন।

এ অবস্থায় উপভোগ করতে যেতে পারেন ঢাকার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলো নগরবাসীর জন্য বিনোদনের পসরা সাজিয়ে বসে আছে। আবার প্রকৃতির ছোঁয়া পেতে যেতে পারেন ঢাকার বিভিন্ন পার্কে। আর নির্মল বিনোদনের জন্য আছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনা পার্ক, ধানমন্ডি লেক, সংসদ ভবন-চন্দ্রিমা উদ্যান, বোটানিক্যাল গার্ডেন, বলধা গার্ডেন।

চিড়িয়াখানা

অবস্থান ঢাকার মিরপুরে। এটি সরকারের মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ একটি প্রতিষ্ঠান। ঈদের সময় ঢাকা চিড়িয়াখানা দর্শণার্থী কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এবারও দর্শণার্থীর ঢল নামে চিড়িয়াখানায়। প্রতিদিনের মতোই সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকছে চিড়িয়াখানা। চাইলে পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন।

কেন্দ্রীয় শিশুপার্ক

রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত কেন্দ্রীয় শিশুপার্ক। ঈদ উপলক্ষে নতুনভাবে সাজানো হয়েছে পার্কটি। নামে শিশুদের হলেও এখানে ছোটদের পাশাপাশি বড়রা গিয়েও আনন্দ পান। ঈদের প্রথম চারদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে পার্ক। ঈদে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা বিনা টিকিটে প্রবেশ ও রাইডে চড়ার সুযোগ পাবে বলে জানিয়েছে শিশুপার্ক কর্তৃপক্ষ

স্বাধীনতা জাদুঘর ও জাতীয় জাদুঘর

ঈদের পরদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকছে যাদুঘরদুটি। আনন্দ ও দেশের ইতিহাস ঐতিহ্যের সঙ্গে আরও একটু ভালোভাবে পরিচিত হতে ঈদের ছুটিতে সময় কাটিয়ে আসতে পারেন এখানে।

শিশুমেলা

শিশুমেলা অবস্থিত রাজধানীর শ্যামলীতে। এতে রয়েছে ৪০টির মতো রাইড। পরিবারের সবার চড়ার মতো আছে ১২টি রাইড। ঈদের প্রথম সাতদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এটি খোলা থাকছে।

হাতিরঝিল

যারা প্রকৃতিপ্রেমি বা প্রকৃতির কাছাকছি থাকতে চান তাদের জন্য উপযুক্ত হচ্ছে হাতিরঝিল। এই ব্যস্ত শহরে হাতিরঝিল হয়ে উঠেছে মনোরম এক বিনোদন কেন্দ্র। দিনে কিংবা রাতে যে কেউই ঘুরে আসতে পারেন হাতিরঝিল। সন্ধ্যা হলেই বেশি জমে উঠে এই এলাকা। পুরো হাতিরঝিল ঘুরে দেখতে এখানে আরামদায়ক বাস সার্ভিসও রয়েছে।

লালবাগ কেল্লা

পুরান ঢাকার লালবাগে অবস্থিত এটি। মোগল আমলে স্থাপিত এই দুর্গটি একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন। দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনস্থলও এটি। পুরান ঢাকার ভিড় ঠেলে কেল্লার সদর দরজা দিয়ে ঢুকলেই চোখে পড়ে পরী বিবির মাজার। এখানে আছে দরবার হল, নবাবের হাম্মামখানা। আছে শাহী মসজিদ। রয়েছে একটি জাদুঘরও। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে এটি।


বুড়িগঙ্গা ইকোপার্ক

শানবাঁধানো নদীর ঘাটে নৌকা বাঁধা দেখতে যেতে হবে বুড়িগঙ্গা ইকোপার্কে। মৃদুমন্দ হাওয়া খেতে চাইলে এখানে নৌকায় করে ঘুরতে পারেন। জায়গাটি গাছগাছালিতে ঢাকা। গাছের সারির ফাঁকে পাকা রাস্তা। শহরের কোলাহল ছেড়ে রাজধানীর উপকণ্ঠ শ্যামপুরে প্রায় সাত একর জায়গার ওপর গড়ে উঠেছে পার্কটি।  

আহসান মঞ্জিল

নামে হয়তো আহসান মঞ্জিলকে অনেকেই জানেন। কিন্তু পুরান ঢাকার যানজটের কথা চিন্তা করে অনেকেই ওদিকে পা বাড়ান না। তবে এই ফাঁকা ঢাকায় একবার ঢু মারতে পারেন আহসান মঞ্জিলে। ইসলামপুরে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে মোগল আমলের ঐতিহ্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আহসান মঞ্জিল। খোলা থাকে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত।

ফ্যান্টাসি কিংডম

ঢাকা থেকে খুববেশি দূরে নয় ফ্যান্টাসি কিংডম। বাংলাদেশের  থিমপার্কগুলোর মধ্যে জনপ্রিয় ফ্যান্টাসি কিংডম। আশুলিয়ায় গড়ে ওঠা এই বিনোদন কেন্দ্র ঈদের প্রথম সাতদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকছে। বড়দের প্রবেশমূল্য ৪০০ টাকা। ৩ ফুটের নিচে শিশুদের জন্য কোনো টিকিট লাগবে না। যারা সাঁতার কাটতে ভালোভাসেন তাদের জন্য এখানে রয়েছে ওয়াটার কিংডম।

নন্দন পার্ক

নানা রকম রাইড আর ওয়াটার ওয়ার্ল্ডের পাশাপাশি খুদে চিড়িয়াখানা বলা হয় নন্দন পার্ককে। সাভারের নবীনগর রাস্তা ধরে জিরানীর পর অবস্থিত নন্দন পার্ক। ছুটির দিনেও এটি খোলা থাকে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত।

ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্ক

ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্ক ঢাকার সায়েদাবাদ রেলক্রসিংয়ের পাশে অবস্থিত। খোলা থাকে সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। এখানে রাইডের মধ্যে রয়েছে ফ্লাওয়ার কাপ, মিনি ক্যাব, বেবি কার, টয় ট্রেন, ভয়েজার বোর্ড, টুইস্টার, সুপার চেয়ার, মেরি-গো-রাউন্ড, ওয়ান্ডারল্যান্ড হুইল ইত্যাদি।


(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল)

সম্পর্কিত খবর