খুলনায় বাস-ট্রেনে উপচেপড়া ভিড়
অতিরিক্ত ভাড়া আদায়

খুলনায় বাস-ট্রেনে উপচেপড়া ভিড়

খুলনা প্রতিনিধি

ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। ফলে খুলনা থেকে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রামগামী বাস-ট্রেনে এখন উপচেপড়া ভিড়। যাত্রীর চাপ থাকায় প্রতিটি বাস কাউন্টারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এদিকে, দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও মিলছে না ট্রেনের টিকিট।

ঈদের পর রবিবার প্রথম কর্মদিবস হওয়ায় খুলনায় বাস ও রেলস্টেশনে যাত্রীদের চাপ ছিলো বেশি। ঢাকাগামী ট্রেন যাত্রী ব্যবসায়ী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, পরিবার নিয়ে ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম। আসার পথে যানজট বা কোনো ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি বলে ট্রেনেই ঢাকা ফিরছি। কিন্তু পুরো পরিবারের জন্য টিকিট না পাওয়ায় একাই যেতে হচ্ছে।

টিকিটের চাপ কমলে অন্যরা ফিরবে।

খুলনা রেলওয়ে স্টেশন মাষ্টার মানিক চন্দ্র সরকার বলেন, আগামী ১০ দিনের ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। মানুষের চাপ সামলাতে নিজের কক্ষ ছেড়ে তাকে অন্যত্র বসে অফিস করতে হচ্ছে।

এদিকে, খুলনায় দূরপাল্লার বাসের টিকিট পাওয়াও দুষ্কর হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ পরিবহনে আগামী ৩/৪ দিনের টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। তবে যাত্রীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ রয়েছে বাস কর্মচারীদের বিরুদ্ধে।

কলেজ ছাত্র আহনাফ জাওয়াদ বলেন, টিকিট সংগ্রহের জন্য তিনি সোনাডাঙ্গা, শিববাড়ি ও রয়েলের মোড় বাস কাউন্টার ঘুরেছেন। কিন্তু কোথাও টিকিট পাননি। তবে দাম বেশি দেওয়ায় পরবর্তীতে তাকে টিকিট দেওয়া হয়েছে।

অবশ্য টিকিটের বাড়তি দামের বিষয়টি অস্বীকার করেন বাস মালিক-কর্মচারীরা। শিববাড়ি মোড় ঈগল পরিবহনের টিকিট কাউন্টার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শুধু অগ্রিম টিকিটের জন্য দাম একটু বেশি রাখা হচ্ছে।

জানা যায়, এসি টিকিটের দাম ১২০০ টাকা হলেও ঈদে যাত্রীদের চাপের কারণে অগ্রিম টিকিট ১৬০০ টাকা রাখা হচ্ছে। চেয়ার কোচের ভাড়া ৫৫০ টাকার পরিবর্তে অগ্রিম টিকিট রাখা হচ্ছে ৬২০ টাকা।

বাস মালিকরা বলেন, স্বাভাবিক সময়ে যাত্রী কম থাকে তাই ভাড়া কম রাখা হয়। ঈদের পর চাপ থাকায় যাত্রীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ভাড়া রাখা হয়।


(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল)