========
বায়োইলেকট্রিক মেটেরিয়াল তৈরির ক্ষেত্রে আমাদের রিসার্চ গ্রুপ (গবেষক দল) অনেকদিন ধরেই কাজ করছে। এটি সম্পূর্ণভাবেই পরিবেশ বান্ধব হবে। এই মেটেরিয়ালের কাজ হবে বৈদ্যুতিক শক্তির ব্যবহার ছাড়াই বিদ্যুৎ উৎপাদন করা। এখানে যে টেকনোলজি (প্রযুক্তি) ব্যবহার করা হবে, তার একটা সুনিদিষ্ট ধারণা সম্বন্ধে এখন আমরা নিশ্চিত।
তবে শেষ মুহূর্তে অনেক খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। ম্যাটেরিয়ালটি তৈরি হবার পরে এর টেস্ট করে যদি আমরা সফল হতে পারি বা বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারি, তবে সব বিষয়গুলো নিয়ে আমরা সবার সাথে শেয়ার করবো।
মূলত গবেষণায় প্রচেষ্টার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।
আমরা সবাই গবেষণামুখী হবার চেষ্টা করি। অযথা সময় বিনষ্ট না করে উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগাতে অনুপ্রাণিত হই। বাংলাদেশ বলে আমরা কি পিছিয়ে আছি? না, পিছিয়ে নেই। এখন আমাদের উন্নত দেশগুলোর সাথে টেক্কা দিয়ে প্রযুক্তিকে এগিয়ে নিতে হবে। চীন, ভারত, ভিয়েতনাম যদি পারে, তবে আমরা পারবো না কেন? আমাদের পারতেই হবে।
স্বপ্ন দেখলে বা দেখালে হবেনা, তার বাস্তবায়ন ঘটাতে হবে। আর সেটির সবচেয়ে ভালো সময় এখনই। আসুন গবেষণার মাধ্যমে আমরা সবাই আমাদের বিশ্বাস ও বিজয়কে এগিয়ে নিই। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ডুয়েট রিসার্চ সোসাইটি গড়ে তুলি। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও এ ধরনের সোসাইটি গড়ে তোলা দরকার। আমাদের ডুয়েট এই ধরনেরর রিসার্চ সোসাইটির কথা ভেবেছে সবার আগে। কিন্তু জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি আমাদের ভাবনাকে বাস্তবায়ন করেছে। তাদের অভিনন্দন। আমরা এখনো পারিনি। তবে আমাদেরও পারতে হবে। গবেষণায় অনেক কিছু করার আছে আমাদের। সব মেধাবী মুখগুলো আমাদের ডুয়েটে। আমাদের ভাবনা সফল হোক, চিন্তা প্রসারিত হোক- শুভ দিনের প্রতীক্ষায়।
========
লেখক: অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী
বিভাগীয় প্রধান, শিল্প ও উৎপাদন প্রকৌশল বিভাগ, ডুয়েট
সদস্য, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ
লেখাটি তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে সংগৃহীত
========
অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর