এবার নীল তিমির প্রভাব ঢাকায়, তরুণীর আত্মহত্যা!

ফাইল ছবি

এবার নীল তিমির প্রভাব ঢাকায়, তরুণীর আত্মহত্যা!

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

ব্লু হোয়েল (নীল তিমি) গেম খেলতে গিয়ে ভারতে একের পর এক আত্মহত্যার খবর কয়েক মাস আগে থেকেই শোনা যাচ্ছে। এ নিয়ে দেশটির প্রশাসন চরম উদ্বিঘ্ন। এবার ঢাকায় মিললো সেই খবর। রাজধানীর নিউ মার্কেট থানা এলাকায় ইন্টারনেটভিত্তিক প্রাণঘাতি 'ব্লু হোয়েল' গেম খেলতে গিয়ে ১৩ বছরের এক কিশোরীর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে।

গত বৃহস্পতিবার সেন্ট্রাল রোডের ৪৪ নম্বর বাসায় এ ঘটনা ঘটে।

আত্মহুতি দেওয়া ওই কিশোরীর নাম অপূর্বা বর্ধন স্বর্ণা। মেধাবী এই ছাত্রী স্কুলের ফার্স্ট গার্ল হিসেবেই পরিচিত ছিল। ওয়াইডব্লিউসিএ হাইয়ার সেকেন্ডারি গালর্স স্কুলে প্রাথমিকের গণ্ডি পেরিয়ে সে ফার্মগেটের হলিক্রস স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

মৃত কিশোরীর বাবার সন্দেহ, ইন্টারনেটভিত্তিক ডেথ গেমস ব্লু হোয়েলের কবলে পড়ে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার মেয়ের লিখে যাওয়া একটা চিরকূট থেকে এমন তথ্য মিলেছে বলে তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।  

তবে নিউ মার্কেট থানার ওসি মোহাম্মদ আতিকুর রহমান আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও গেমের প্রভাবে মৃত্যু হয়েছে কিনা সেটা নিশ্চিত করতে পারেননি।  

কিশোরীর বাবা অ্যাডভোকেট সুব্রত বর্মন বলেন, স্বর্ণা কয়েক বছর ধরে কম্পিউটার ও এনড্রয়েড মোবাইল ব্যবহার করছিল। প্যারা, রচনাসহ বিভিন্ন বিষয় ডাউনলোড করে পড়তো। ব্যবহার করতো ফেসবুক। কিছুদিন আগে আমাদের মনে সন্দেহ জাগে। কারণ তার মোবাইলে হাত দিলে সে অভিমান করতো।  

তিনি আরও জানান, ব্লু হোয়েলের কিউরেটরের নির্দেশ মতো লিখে যাওয়া একটি চিরকূট পাওয়া গেছে। যেখানে লেখা, ‘আমার আত্মহত্যার জন্য কেউ দায়ী নয়। ’ এমনকি গেমসের নির্দেশনা মতো একটি হাসির চিহ্ন আঁকা ছিল।

সূত্রমতে প্রাণঘাতি এ গেমটির শুরু রাশিয়ায়। সেদেশে এজন্য কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়। সম্প্রতি গেমটি ভারতে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়ে। গত কয়েকমাস ধরে দেশটিতে একের পর এক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে গেমের কারণে। এরপরই টনক নড়ে প্রশাসনের। নির্দেশ দেওয়া হয় এর কুশীলবকে খুঁজে বের করতে। এখনো ভারতের প্রশাসন ও তথ্য প্রযুক্তিবিদরা গেমটির শেকড়ের সন্ধান বের করতে কাজ করে যাচ্ছে।

সম্পর্কিত খবর