কমেছে সবজি-ডিম-মুরগির দাম

কমেছে সবজি-ডিম-মুরগির দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বাজারগুলোতে কমেছে মুরগি, ডিম ও সবজির দাম। আজ (৩১ আগস্ট, শুক্রবার) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল, রামপুরা, খিলগাঁও, সেগুনবাগিচা এবং শান্তিনগরের বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

বিভিন্ন বাজার ঘুরে জানা গেছে, সাদা বয়লার মুরগি ১২০-১৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, যা ঈদের আগে ১৫০-১৬০ কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। ঈদের আগে ২৫০ টাকার ওপরে বিক্রি হওয়া লাল লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা কেজিতে।

সোনালি মুরগিও কেজিতে সর্বোচ্চ ২২০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৯০-৯৫ টাকা ডজন, যা ঈদের আগে ১০০ টাকার বেশি ছিল।

ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদের পর রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম কম ছিল। তবে শুক্রবার ব্যবসা বেড়েছে।

ফলে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে অধিকাংশ কাঁচাবাজার।

মুরগির দাম কমার বিষয়ে এক ব্যবসায়ী জানান, ঈদের আগে সাদা বয়লার মুরগি বিক্রি করেছি ১৫০ টাকা কেজিতে। এখন সেই মুরগি ১২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করছি। অধিকাংশ মানুষের বাসায় ফ্রিজে কোরবানির মাংস মজুদ রয়েছে। ফলে মুরগির চাহিদা অনেক কম। এ জন্যই দাম কিছুটা কমে গেছে।

অন্যদিকে ডিমের দামের বিষয়ে অন্য এক ব্যবসায়ী জানান, ঈদের আগে ডিমের ডজন ছিল ১১০ টাকা। এখন ৯০ টাকা। ঈদের পর ডিমের চাহিদা কিছুটা কমেছে। ফলে দামও কিছুটা কম।

বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ সবজি ৩০-৪০ টাকা কেজির মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। তবে ঈদের আগের মতো এখনো টমেটো, গাজর, ফুলকপি ও পাতাকপি চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে শীতের আগাম সবজি শিমও। বাজার ও মানভেদে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা কেজি, যা ঈদের আগে ছিল ১২০-১৪০ টাকা।

বাজারে ১০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে পাকা টমেটো। তবে বাজার ও মানভেদে এ সবজিটি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা কেজি। এছাড়াও গাজর বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা কেজি ধরে। বাজারে ছোট আকারের প্রতিপিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা। আর পাতাকপি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা পিস। ঈদের আগে চড়া দামে বিক্রি হওয়া বেগুনের দাম সব থেকে বেশি কমেছে। মান ও বাজারভেদে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা কেজি, যা ঈদের আগে ছিল ৬০-৮০ টাকা।

এছাড়া দাম কমার তালিকায় রয়েছে- বরবটি, কাকরল, করলা, পটল, ঝিঙা, ধুন্দল, ঢেঁড়স, লাউ। বাজার ভেদে উস্তার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি, যা ঈদের আগে ছিল ৬০-৭০ টাকা কেজি। ঈদের আগে ৫০-৬০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি।

ঈদের আগে ৪০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া চিচিঙ্গা, পটল, ঝিঙা, ধুনদল, কাকরল বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা কেজি। পেপে আগের মতো ২০-৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ৪০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া করলার দাম কমে নেমেছে ২৫-৩৫ টাকায়। ঢেড়স বাজর ভেদে বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকা কেজি। ঈদের আগে এ সবজিটির দাম ছিল ৪০ টাকার ওপরে। আর ঈদের আগে ৫০-৬০ টাকা পিস বিক্রি হওয়া লাউয়ের দাম কমে ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কাঁচামরিচের দামও কিছুটা কমেছে। ঈদের আগে ৩০-৩৫ টাকা পোয়া (২৫০ গ্রাম) বিক্রি হওয়া কাঁচামরিচের দাম কমে ২০-২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম কমেছে পেঁয়াজেরও। ৫৫-৬০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজের দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা কেজি। আর আমদানি করা (ভারতীয়) পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা কেজি, যা ঈদের আগে ছিল ৩৫-৪০ টাকা।


অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর

সম্পর্কিত খবর