বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেছেন ভারতের বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধী। কেননা মাত্র আর ২০ সেকেন্ড দেরি হলেই আছড়ে পড়তো কংগ্রেস সভাপতিকে বহনকারী চার্টার্ড প্লেনটি। কাল ডিজিসিএ-এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
গেল ২৬ এপ্রিল দিল্লি থেকে কর্ণাটকের হুবলিতে নির্বাচনী প্রচারণায় যাওয়ার সময় মাঝ আকাশে রাহুলের চাটার্ড বিমানে গোলযোগ দেখা দেয়।
রাহুলের সফরসঙ্গী কৌশল বিদ্যার্থী জানান, সে দিন পাইলটের পাশে থেকে ঠাণ্ডা মাথায় পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি। এ নিয়ে পরে রাহুল বলেন, ‘কয়েক মুহূর্তের জন্য মনে হয়েছিল, এই বুঝি সব শেষ হয়ে গেল।
এই ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে দুই সদস্যের তদন্তকারী দল গঠন করে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ)। তাদের প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যান্ত্রিক ত্রুটির জন্যই ওই ঘটনা ঘটেছিল। তবে কংগ্রেস ওই ঘটনায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে বৈমানিকদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিও জানিয়েছে দলটি।
তবে তথ্য অধিকার আইনে সম্প্রতি গোলযোগের প্রকৃত কারণ প্রকাশ্যে এসেছে। ডিজিসিএ-এর পেশ করা ৩০ পাতার একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, সে দিন সকাল পৌনে ১১টায় বিমানে যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দেয়। আকাশযানটি সে সময় অটোপাইলটে চলছিল। অটোপাইলট কাজ না করায় ককপিটে বৈমানিক চূড়ান্ত সতর্কবার্তা পান। এই ধরনের সমস্যায় সাধারণত ককপিটে লাল বাতি জ্বলে ওঠে। একইসঙ্গে অডিওবার্তা বাজতে শুরু করে। অল্প দেরিতে হলেও সে দিন শেষ মুহূর্তে পরিস্থিতি সামলে নেন পাইলটরা।
ভারতের বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধী [ফাইল ফটো]
রিপোর্টে বলা হয়, আর মাত্র কুড়ি সেকেন্ড দেরি হলেই বিমানটি আছড়ে পড়তো। ডিজিসিএ অবশ্য এই ঘটনায় পাইলটদের গাফিলতির দিকেই আঙুল তুলেছে। তাদের মতে, সময়মতো তারা সতর্ক হলে সে দিন ওই পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।
তবে কংগ্রেস এখনও ষড়যন্ত্রের দাবি থেকে সরছে না। ডিজিসিএ-এর রিপোর্ট সরকারিভাবে প্রকাশ করেনি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও এই সংক্রান্ত সমস্ত প্রতিবেদন শিগগিরই জনসমক্ষে আনা হবে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল।
কিন্তু প্রতিশ্রুতির ৪৯ দিন পরেও নরেন্দ্র মোদী সরকার প্রতিবেদন প্রকাশ না করায় বিরোধীদের আনা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আরও পোক্ত হচ্ছে।
সূত্র: ফার্স্ট পোস্ট, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, আনন্দবাজার পত্রিকা
অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর
