নোয়াখালীতে এক পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
নিহতের ভাই হাছান অভিযোগ করে বলেন, রাজিব প্রতিনিয়ত তার বোনকে নির্যাতন করতো। রোববার বেলা ১১টার দিকে রাজিব তার বোনকে গলা টিপে ও বালিস চাপা দিয়ে হত্যা করার পর তার বোন আত্মহত্যা করেছে বলে তাকে খবর দেয়।
পরে হাসপাতালের মর্গে গিয়ে দেখি তার লাশ পড়ে আছে।জানা গেছে, লহ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার বাসিন্দা ও নোয়াখালীর পুলিশ কনস্টেবল তাজবিত হোসেন রাজিব। তিনি গত ৫ বছর আগে হাতিয়া থানায় কর্মরত ছিলেন। সে সমায় হাতিয়ার চরকিং ইউনিয়নের গামছা খালী গ্রামের সোলাইমান মিয়ার ৮ম শ্রেণির ছাত্রী দিল্লোবা আক্তার সালমার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন।
পরে রাজিব বদলী হয়ে জেলা হেডকোয়ার্টারে আসলে মাইজদী নুতন বাস স্টেশনের কাছে বাসা ভাড়া নিয়ে তারা বসবাস করে আসছিল। এরই মাঝে তাদের একটি কন্যা সন্তান হয়। তার বর্তমান বয়স ৪ বছর।
সুধারাম মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, স্বামী-স্ত্রী ঝগড়া হয়। পরে স্ত্রী ভেতরের দিক থেকে দরজা লক করে আত্মহত্যা করে।
পরিবারের পক্ষ থেকে গলা টিপে হত্যার অভিযোগের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পুলিশ সুপর মোঃ ইলিয়াছ শরীফ বলেন, তারা লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
▐ NEWS24/কামরুল