'রাজনৈতিক দলের সমর্থন থাকলে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম'

'রাজনৈতিক দলের সমর্থন থাকলে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম'

'রাজনৈতিক দলের সমর্থন থাকলে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম'

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থন থাকলেই জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। সরকার আর সংসদেরও সমর্থন প্রয়োজন। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার শুরু হয়ে গেছে। সরকার যদি আইন পাস করে দেয় আর পরিবেশ পরিস্থিতি যদি অনুকূলে থাকে, তবে সংসদ নির্বাচনে র‍্যানডমলি ইভিএম ব্যবহার করা হবে নাহলে না।

সিইসি বলেন, আমরা যদি মনে করি ৩০০ আসনের মধ্যে ২৫টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করব। তবে আমরা র‍্যানডমলি আসনগুলো বাছাই করব। এখানে কারো পছন্দ-অপছন্দের বিষয় থাকবে না।

সোমবার সকালে আগারগাঁওয়ের ইটিআই ভবনের সম্মেলনকক্ষে ইভিএম ব্যবহারসংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তাদের দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে সিইসি এসব কথা বলেন।

সিইসি আরও বলেন, প্রযুক্তি এখন আর বাক্সের মধ্যে বন্দি নেই। এটি এখন মানুষের হাতে হাতে। মোবাইলের মাধ্যমেই আমরা এখন নব্য তথ্য আদান-প্রদান করতে পারি।

বিদ্যমান ভোটিং ব্যবস্থার সমস্যা তুলে ধরে তিনি বলেন, ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে হাজার রকমের জিনিসপত্রের প্রয়োজন হয়। চিন্তায় থাকতে হয় কেন্দ্রে পৌঁছানোর সময় ব্যালট পেপার ছিনতাই হয়ে যাবে কিনা। প্রযুক্তির ব্যবহার হলে এসব জিনিসপত্রের প্রয়োজন হবে না। তা ছাড়া নির্বাচন পরিচালনায় ৭০ শতাংশ খরচ হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য। ইভিএমে এ খরচ কমে আসবে।

সিইসি আরও বলেন, ইভিএম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবহার হবে কী হবে না, সেটির চিন্তা আরও পরে হবে। যদি আইন হয়, কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া যায় এবং সব মহলে এর গ্রহণযোগ্যতা পাওয়া যায়, তার ওপরে নির্ভর করবে।

ইভিএম কেনার বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘ইভিএম কেনার বিষয়ে আমাদের কোনো তহবিল থাকবে না। এটি অর্থ মন্ত্রণালয় ও সরকার দেখবে। এ বিষয়ে আমরা চিঠি দিয়ে ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে মিটিং করে জানিয়েছি। ’

ইটিআইয়ের মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় ইসি সচিব বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

 

▐ NEWS24/কামরুল

সম্পর্কিত খবর