বুকে ও লুঙ্গিতে মৃত্যুর কারণ লিখে গেলেন তিনি!

বুকে ও পরনের লুঙ্গিতে লেখা।

বুকে ও লুঙ্গিতে মৃত্যুর কারণ লিখে গেলেন তিনি!

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

আমি মরার জন্য রুকছানাই দায়ী। আমি তাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম। ও অন্য ছেলেকে বিয়ে করার কথা যদি আমাকে কয় তাহলে কি মাথা ঠিক থাকে’

মরার আগে নিজের বুকে ও পরনের লুঙ্গিতে এমনভাবেই লিখে গিয়েছিলেন বগুড়ার শাজাহানপুরে শিবলু রহমান (৩০) নামে এক রিকশাচালক। সোমবার উপজেলার জুসখোলা গ্রামের শ্বশুরবাড়ি থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত শিবলু রহমান ধুনটের বিলচাপড়ি গ্রামের শাহাদুজ্জামান রঞ্জু মিয়ার ছেলে।

শাজাহানপুর থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশ উদ্ধারের সময় তার বুকে ও লুঙ্গিতে মৃত্যুর জন্য স্ত্রীকে দায়ী করে অস্পষ্ট কিছু লেখা ছিল। মৃত ব্যক্তি তার মৃত্যুর জন্য স্ত্রী রুকছানাকে দায়ী করেন।

পুলিশ ও স্বজনরা জানান, শিবলু রহমান প্রায় দেড় বছর আগে শাজাহানপুর উপজেলার জুসখোলা গ্রামের রুহুল আমিনের মেয়ে রোকসানা আকতারকে বিয়ে করেন।

রোকসানা স্বামীর বাড়িতে যেতে রাজি না হওয়ায় গত ৪ মাস ধরে শিবলু শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন।

সোমবার সকালে ঘরের তীরের সঙ্গে শিবলুর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাওয়া যায়। খবর পেয়ে শাজাহানপুর থানা-পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

শিবলুর ভাই শামীম আহমেদ ও বোন রোজিনা বেগম অভিযোগ করেন, বিয়ের আগে রোকসানার সঙ্গে শান্ত নামে এক ব্যক্তির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের পরও তাদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। তাই রোকসানা ধুনটে শ্বশুরবাড়িতে থাকতে রাজি ছিল না। বাধ্য হয়ে শিবলু শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন।

নিহত শিবলুর বুকে ও গালে আঁচড়ের দাগ ও পায়ে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। হত্যার পর ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে বুকে ও লুঙ্গিতে লাল কলম দিয়ে লেখা হয়েছে।

স্ত্রী রোকসানা আকতার ও তার পরিবারের সদস্য দাবি করেন, রোববার রাতে স্বামী-স্ত্রী খাবার খেয়ে একসঙ্গে ঘুমিয়ে পড়েন। সোমবার সকালে ঘরের তীরের সঙ্গে শিবলুর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাওয়া যায়।

ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, মৃতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। বুকে অস্পষ্ট কিছু লেখা আছে। পারিবারিক কলহে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। এরপরও মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর জানা যাবে।  

 (নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর