পাকিস্তানকে মার্কিন চাপে স্বস্তিতে ভারত

ফাইল ছবি

পাকিস্তানকে মার্কিন চাপে স্বস্তিতে ভারত

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আগে সরগরম দক্ষিণ এশিয়ার কূটনীতি। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লি পৌঁছানোর পথে ইসলামাবাদে ইমরান সরকারের সঙ্গে আলোচনা সেরে যাবেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।

ওয়াশিংটন জানিয়েছে, পাকিস্তানের জন্য ধার্য ৩০ কোটি ডলারের নিরাপত্তাসংক্রান্ত মার্কিন অনুদান বন্ধ করে দেয়া হবে। কারণ সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য হয়ে যাওয়া সেই দেশকে সন্ত্রাসবাদ মুক্ত করার জন্য বারবার অনুরোধ করলেও কান দেয়নি ইসলামাবাদ।

আর ইসলামাবাদের ওপর এই চাপ বাড়ায় স্বস্তিতে নয়াদিল্লি। -খবর আনন্দবাজারপত্রিকা অনলাইনের।

টু প্লাস টু বৈঠকের আগে আমেরিকার এই সিদ্ধান্তকে অতিরিক্ত লাভ হিসেবে দেখছে ভারত। কারণ এত দিন আমেরিকা তথা পশ্চিম বিশ্বকে এ কথাই ধারাবাহিকভাবে বলে এসেছে ভারত।

ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় মদদপ্রাপ্ত এবং সে দেশ থেকে পাচার হওয়া সন্ত্রাসবাদ নিয়ে কিছুটা নড়েচড়ে বসেছে হোয়াইট হাউস। কিন্তু নয়াদিল্লি জানে যে আফগানিস্তানে শান্তি ফেরানোর প্রশ্নে পাকিস্তানকে এখনও প্রয়োজন আমেরিকার।

কূটনীতিকদের অনেকেই মনে করছেন, এটি আমেরিকার সাময়িক চাপ তৈরির কৌশল। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, পাকিস্তানের ওপরে পশ্চিম বিশ্বের যতটুকুই চাপ থাক, নয়াদিল্লির জন্য সেটি মঙ্গলের। আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস বন্ধ করা নিয়ে যে প্রচার বিশ্বমঞ্চে করে চলেছে নয়াদিল্লি, তা এই পরিস্থিতিতে আরও জলবাতাস পাবে।

তবে মার্কিন সিদ্ধান্তের পর স্বাভাবিকভাবেই প্রতিক্রিয়ায় মুখর হয়েছে ইমরান সরকার। সে দেশের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরাইশি বলেন, ৩০ কোটি ডলার কোনো অনুদান বা সাহায্য নয়। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে এই অর্থ পাকিস্তান খরচ করেছিল নিজেদের সম্পদ থেকে। কথা রয়েছে আমেরিকা এটি আমাদের মিটিয়ে দেবে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, তারা এই অর্থ মেটাতে চাইছে না। অথবা ওদের দেয়ার মতো ক্ষমতাও নেই।

কোরাইশি বলেন, পম্পেওর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন তারা। তবে অর্থ চেয়ে চাপ বাড়ালেও পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের সম্পর্কে উন্নতিই চাইছি আমরা।

 

▐ NEWS24/কামরুল

সম্পর্কিত খবর