মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলা: পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ২৭ সেপ্টেম্বর

এমপি রানা (ফাইল ছবি)

এমপি রানাকে আদালতে হাজির

মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলা: পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ২৭ সেপ্টেম্বর

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলে চাঞ্চল্যকর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় সাক্ষী উপস্থিত না থাকায় আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর স্বাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ বুধবার মামলার প্রধান আসামি সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মাকসুদা খানম।

এদিকে আসামি পক্ষের জামিন আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৬ জুলাই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আজ বিকেল ৪টায় জামিনের আদেশ দেয়ার সময় ধার্য করেছেন আদালত।

বাদি পক্ষের আইনজীবীরা আজ জামিনের আদেশের ব্যাপারে অধিকতর শুনানির আবেদন করলে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তার বিরোধিতা করেন।

এদিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বেলা সাড়ে ১০টার দিকে মামলার প্রধান আসামি সাংসদ আমানুর রহমান খান রানাকে আদালতে হাজির করা হয়। জামিনের আদেশকে কেন্দ্র করে আদালত চত্বরে আজ সকাল থেকেই পুলিশ কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। আদালত চত্বর ছাড়াও শহরের বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

বেলা ১১ টার দিকে এমপি রানার সমর্থকরা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচার ও এমপি রানার মুক্তির দাবিতে শহরের শামসুল হক তোরণ এলাকায় অবস্থান নিলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। অপরদিকে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার বিচার দাবিতে আদালত চত্বর ও শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ কলেজ পাড়া এলাকার তার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে এই হত্যাকাণ্ডের সাথে এমপি রানা ও তার তিন ভাইয়ের নাম বেরিয়ে আসে। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। এই মামলায় এমপি রানা ছাড়াও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪জন আসামি রয়েছে।

 

কামরুল▐ NEWS24

সম্পর্কিত খবর