এমপি রানার জামিন নামঞ্জুর, আদালত চত্বরে দিনভর উত্তেজনা

এমপি রানার জামিন নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে পুলিশ

এমপি রানার জামিন নামঞ্জুর, আদালত চত্বরে দিনভর উত্তেজনা

আতিকুর রহমান • টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের বহুল আলোচিত মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলার প্রধান আসামি ঘাটাইল আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার জামিনের শুনানিকে কেন্দ্র করে আদালত চত্বর ও টাঙ্গাইল শহরে দিনভর ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। এ সময় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের সামনে থেকে একটি বিদেশি পিস্তল,দুটি ম্যাগজিন,৮ রাউন্ড গুলি ও দেশিয় অস্ত্রসহ ১১জনকে আটক করেছে পুলিশ।  

এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার (এসপি) সঞ্জিত কুমার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ফারুক হত্যা মামলার প্রধান আসামি ঘাটাইল আসনের এমপি আমানুর রহমান খান রানার জামিনের শুনানিকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

শহরের বিভিন্ন সড়কের মোড়ে দুই গ্রুপেরই সমর্থকরা মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দুই রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ সময় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের সামনে থেকে দেশি-বিদেশি অস্ত্রসহ ১১জনকে আটক করা হয়। ’ 
news24bd.tv
এমপি রানাকে আদালতে নেয়া হচ্ছে

এর আগে আজ (৫ সেপ্টেম্বর,বুধবার) সকাল সাড়ে ১০টায় সাংসদ আমানুর রহমান খান রানাকে স্বাক্ষ্যগ্রহণ ও জামিন আবেদনের শুনানির জন্য গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মাকসুদা খানমের আদালতে হাজির করা হয়।

এদিন বিচারক ২৭ সেপ্টেম্বর স্বাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। এ সয়ম জামিন আবেদনের শুনানির রায় বিকেল ৪টার সময় ধার্য করেন। পরে বিকেল ৪টার দিকে এমপি রানার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার ৩ দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।  

২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে এই হত্যায় এমপি রানা ও তার ভাইদের নাম উঠে আসে।  

২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। এই মামলায় এমপি রানা ছাড়াও তার ৩ ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪জন আসামি রয়েছে।  

গেল বছরের ৬ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন টাঙ্গাইল আদালত।


আতিকুর▐ অরিন▐ NEWS24

সম্পর্কিত খবর