পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ই একমাত্র লক্ষ্য বাংলাদেশের

ফাইল ছবি

পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ই একমাত্র লক্ষ্য বাংলাদেশের

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

ইতিহাস ও পরিসংখ্যান আজ বাংলাদেশের পক্ষে। পাকিস্তানকে অনেকবার ধরাশায়ী করেছে বাংলাদেশ। সাফ ফুটবলে আজ জিতে বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে চায় সেমিফাইনালের পথে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৭টায় ম্যাচটি শুরু হবে।

জগদ্দল পাথর যেন চেপে বসেছিল বুকে। ভুটানকে হারানোর পর তা সরে গেছে। তাই বুধবার স্বস্তির একটি দিন কাটিয়েছেন কোচ জেমি ডে’র শিষ্যরা।

ভুটানকে হারানো ম্যাচের সদস্যরা সকালে সুইমিং করে সময় কাটিয়েছেন।

যারা স্কোয়াডের বাইরে ছিলেন তারা বিকেলে জিম সেশন করেছেন। পরে অনুশীলন করার কথা থাকলেও তা বাতিল করা হয়।

পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের পরিসংখ্যান সমৃদ্ধ। ১৬ বারের মুখোমুখিতে বাংলাদেশ জিতেছে ছয়বার। পাকিস্তান পাঁচবার জিতলেও বাকি পাঁচটি ম্যাচ ড্র হয়েছে।

১৯৮৫ সালের ২ মে কায়েদে আজম ট্রফিতে প্রথম দেখায় পাকিস্তানকে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ১৯৯৯ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ৪-০ গোলের জয় পেয়েছিল লাল-সবুজ ফুটবল দল।

আর ২০১১ সালের ২৯ জুন ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ৩-০ গোলের জয় ছিল পাকিস্তানকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানে হারানোর রেকর্ড। আজও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে চায় বাংলাদেশ।

মিডফিল্ডার ইমন মাহমুদ বাবুর কথায়, কোচ জেমি ডে ম্যাচ ধরে ধরে লক্ষ্য নির্ধারণ করে এগিয়ে যেতে চান। ভুটানকে হারানোর মিশন শেষ। এখন আমাদের লক্ষ্য পাকিস্তানকে হারানো। তারা শক্তিশলী দল। রক্ষণাত্মক খেলে। কাউন্টার অ্যাটাকে যায়। শারীরিকভাবে ভালো একটি দল। ইউরোপে খেলেন এমন বেশক’জন রয়েছেন এই দলে। ইংল্যান্ডে পাঞ্জাবের একটি দল রয়েছে। যে দলের অনেকেই এবার এই দলে খেলছেন। তাই ইউরোপের কন্ডিশনে খেলে আসা দলই বলা চলে এদের।

ভুটান নিয়ে বাবুর কথা, ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে সবারই মনে একটা আশঙ্কা কাজ করছিল। কারণ ভুটানের জন্যই আমাদের অনেক কথা শুনতে হয়েছে। ফিফা ও এএফসির ম্যাচ থেকে আমরা নির্বাসিত হয়েছি। দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ফুটবলের বাইরে ছিলাম। আমারও ব্যক্তিগত ক্ষোভ ছিল। কারণ ওই ম্যাচটি আমি খেলতে পারিনি। ম্যাচের আগেরদিন আমার মা মারা যান। আমাকে ভুটান থেকে চলে আসতে হয়েছিল।

তিনি যোগ করেন, এক ম্যাচ জিতেই আত্মতুষ্টিতে ভুগতে নিষেধ করেছেন কোচ জেমি ডে। সেভাবে তাই জয়ও উদযাপন করা হয়নি। জয় পাওয়ায় সবাই খুশি। ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে দল।

এদিকে বাংলাদেশের অনুশীলন বাতিল হলেও শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব মাঠে অনুশীলন করেছে পাকিস্তান দল।

অনুশীলন শেষে পাকিস্তানের কোচ হোসে অ্যান্তেনিও নেভেইরো বলেন, ‘দু’দলের জন্য ম্যাচটি সেমিফাইনালে ওঠার। জয়ের জন্যই আমরা মাঠে নামব। প্রতিপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশ আমাদের চেয়ে এগিয়ে। ঘরের মাঠ, ঘরের দর্শক এটা বাড়তি সুবিধা দলটির জন্য। তবে নেপালের বিপক্ষে পাওয়া জয় আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে শেষ মুহূর্তে পাওয়া গোলে দল উজ্জীবিত।

ম্যাচের কৌশল নিয়ে তার কথা, ম্যাচের কৌশল কী হবে সেটা নিয়ে এখন কিছু বলতে চাই না। নেপালের বিপক্ষে ম্যাচে আমাদের যেসব ভুলভ্রান্তি ছিল সেগুলো নিয়ে এখন কাজ চলছে। যাতে পরবর্তী ম্যাচে সেই ভুলগুলো আর না হয়।

 

কামরুল▐ NEWS24

সম্পর্কিত খবর