চাঁদাবাজির অভিযোগে বহিষ্কার দাবিতে কেন্দ্রে আবেদন

ছবি-সংগৃহীত

সাতক্ষীরা ছাত্রলীগ

চাঁদাবাজির অভিযোগে বহিষ্কার দাবিতে কেন্দ্রে আবেদন

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ড, এমনকি বিনা কারণে বিভিন্ন সাংগঠনিক কমিটি ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকির অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগে সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমানের বহিষ্কার দাবি করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদকের নিকট লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা। অবিলম্বে ছাত্রলীগ নেতা সাদিকুরকে বহিষ্কার না করলে তারা একযোগে পদত্যাগ করবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন।

এই অভিযোগ পেয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমানকে ঢাকায় ডেকে পাঠিয়েছেন কেন্দ্রের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

অভিযুক্ত নেতা সৈয়দ সাদিকুর রহমান জানান, আমি ছাত্রলীগের কয়েক নেতার বিরুদ্ধে মাদক গ্রহণ, চাঁদাবাজি ও কমিটির মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়াসহ কয়েকটি অভিযোগ করায় জেলা সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজা তাদের সংগঠিত করে ঢাকায় নিয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। আমিও পাল্টা অভিযোগ দিতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে ঢাকা যাচ্ছি।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাদের কাছে দেওয়া অভিযোগে বলা হয়, ছাত্রলীগে সৈয়দ সাদিকুর রহমান একজন অনুুপ্রবেশকারী। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের অশালীন ভাষায় গালাগাল করেন।

চাঁদা দাবি করেন। না দিলে কমিটি ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেন। তার কারণে সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে। সংগঠনের প্রতি নেতাকর্মীরা আস্থা হারাচ্ছেন। তাকে সর্বোচ্চ সাংগঠনিক শাস্তি হিসাবে দল থেকে বহিস্কার না করা হলে তারা সবাই গণপদত্যাগ করতে বাধ্য হবেন।

সাদিকুরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি কাজী শাহেদ পারভেজ ইমন, সদর উপজেলা সভাপতি শাহিন আলম সাদ্দাম, কলারোয়া উপজেলা সভাপতি এসএম আবু সাঈদ, সাধারণ সম্পাদক শাকিল খান জজ, তালা উপজেলা সভাপতি শেখ সাদী, সাধারণ সম্পাদক মশিউল আলম সুমন, সাতক্ষীরা সিটি কলেজ সভাপতি মহিদুল ইসলাম, আশাশুনি উপজেলা সভাপতি আসমাউল হুসাইন, কালিগঞ্জ উপজেলা সভাপতি শেখ শাওন আহমেদ সোহাগ, শ্যামনগর  উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাকিম সবুজ, দেবহাটা উপজেলা সভাপতি হাবিবুর রহমান সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম হাফিজ প্রমুখ।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান জানান, আমি কলারোয়ার সভাপতি সম্পাদক ও  আশাশুনির সভাপতির বিরুদ্ধে মাদক গ্রহণের অভিযোগ করি। দেবহাটা উপজেলা ছাত্রলীগের মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির বয়স সাত বছর এবং এর সভাপতি ও সম্পাদক বিবাহিত। তাদের উভায়ের ছেলে মেয়ে রয়েছে। এসব অভিযোগ করায় জেলা সভাপতি রেজা তাদের সংগঠিত করে বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে।

তিনি বলেন, আমিও পাল্টা অভিযোগ দিতে আশাশুনি ছাত্রলীগের সভাপতি স্বাদ, কালিগঞ্জ সেক্রেটারি ফিরোজ, সদর সেক্রেটারি শাওন, জেলা দফতর সম্পাদক মৃণাল মন্ডল, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ সেক্রটারি আবুল কালাম, সিাট কলেজ সেক্রেটারি আলিফ, পলিটেকনিক কলেজ সভাপতি ও সেক্রেটারি মাহমুদুল ও শামীমসহ বেশ কয়েকজন নেতাকে নিয়ে ঢাকায় রওনা হয়েছি।

তবে এসব বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজা জানান, আমি সেক্রেটারির বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ সম্পর্কে কিছুই জানি না। আমি ঢাকায় ছিলাম। কখন তারা কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে এসব অভিযোগ দিয়েছেন তাও আমার জানা নেই।


NEWS24▐ কামরুল

সম্পর্কিত খবর