আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ায় ‘এনপিএস’

এনপিএস দেখতে অনেকটা চা পাতার মতো। ‘গ্রিন টি’র আড়ালে বাংলাদেশে আমদানি করা হচ্ছে এই মাদক

আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ায় ‘এনপিএস’

নিজস্ব প্রতিবেদক

এক সময় গাঁজাই ছিল দেশিয় মাদকসেবীদের ‘প্রধান খাদ্য’। প্রচলিত ওই মাদকের বাইরে আসা শুরু হয় হেরোইন। এরপর ভারত সীমান্ত দিয়ে আসে ফেন্সিডিল। হেরোইন, ফেন্সিডিল বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যখন ব্যস্ত, তখন মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে আসা শুরু হয় ইয়াবা।



আর ইয়াবার থাবা বন্ধে যখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ অভিযান চলছে, ঠিক সেই মুহূর্তে সন্ধান মিলেছে নতুন মাদকের। নাম এনপিএস (নিউ সাইকোট্রফিক সাবসটেনসেস)। গ্রিন টি (সবুজ চা) প্যাকেটের আড়ালে আকাশ পথে বাংলাদেশে আসছে এ মাদক।

বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকরা বলছেন, এনপিএস ইয়াবার চেয়েও বেশি আগ্রাসী ও ক্ষতিকারক।

এটি সেবনকারীর মৃত্যু ঘটাতে পারে। এই মাদক বাড়িয়ে দেয় আত্মহত্যার প্রবণতাও।

বাংলাদেশে এনপিএস নতুন মনে হলেও বিশ্বের ৮০টির বেশি দেশে এটি পরিচিত। জাতিসংঘ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ইউনাইটেড নেশনস অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম (ইউএনওডিসি) কর্তৃক প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে মাদক সেবনপ্রবণ ৮০টি দেশ এবং অঞ্চলে জরিপ করে ৭০টিতেই এনপিএস’র উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

জাতিসংঘের এ প্রতিষ্ঠানটিও তাদের প্রতিবেদনে বলছে, এনপিএস সেবনকারী একসময় আত্মহননের পথই বেছে নেন।

ইউএনওডিসি’র কাছে ১০৩টি রাষ্ট্র তাদের দেশে এনপিএস’র অপব্যবহার ও সহজলভ্যতার কথা জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইউএনওডিসি ১৯৬১ সালের কনভেনশনের মাধ্যমে ১১৯টি এবং ১৯৭১ সালের কনভেনশনের মাধ্যমে ১১৫টি দেশসহ ২৩৪টি দেশে এনপিএস নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তবে বিশ্ব বাজারে লাগামহীনভাবে ছড়িয়ে পড়ছে এনপিএস।

ইউএনওডিসি’র সংজ্ঞা অনুযায়ী, এনপিএস একটি ডিজাইনার বা পরিকল্পক মাদক। রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় এটি বিভিন্ন মাত্রায় পরিবর্তন করে উচ্চমাত্রার মাদকে রূপ দেয়া যায়। সংশ্লেষণ, সমন্বয় ও সিনথেটিকের মাধ্যমে এটিকে মাদকে রূপ দেয়া হয়।


অরিন▐ NEWS24

সম্পর্কিত খবর