নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপ চায় না ওয়ার্কার্স পার্টি

নির্বাচন কমিশন

ইসির সঙ্গে সংলাপ

নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপ চায় না ওয়ার্কার্স পার্টি

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

নির্বাচনের সময় কোন বিদেশি সংস্থার নাক গলানো আশা করে না ওয়ার্কার্স পার্টি। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী ভূমিকায় থাকার প্রস্তাব দিয়েছে দলটি।  

আগামী জাতীয় নির্বাচনের কর্মপরিকলপনা বাস্তবায়নে নির্বাচন কমিশনের ধারাবাহিক সংলাপে অংশ নিয়ে আজ বুধবার দলটি এ প্রস্তাব দেয়। সকাল ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সংলাপ শুরু হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা।  

দলের সভাপতি ও বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বে ১৬ নেতা-কর্মী বৈঠকে অংশ নেয়। সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন, ক্ষেত্র বিশেষে সীমানা পুনর্বিন্যাস, সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা, আংশিকভাবে ইভিএম ব্যবহারসহ ১২ দফা প্রস্তাব দেয় দলটি। তবে বিশেষক্ষেত্রে সেনা মোতায়েনের পক্ষে থাকলেও, সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা না দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে দলটি।

এদিকে বিকেল তিনটায়, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি সংলাপে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে বিএনপি'র অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে মেনন বলেন, আত্মঘাতি হতে না চাইলে বিএনপির নির্বাচনে আসতে হবে।  সংবিধানসম্মতভাবে সংসদ বহাল রেখে বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন চায় ওয়ার্কার্স পার্টি।  

দলটির দেয়া ১২ দফা প্রস্তাবের অন্যতম ছিল-  বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব। ওয়ার্কার্স পার্টির মতে, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সংবিধানমতে বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হবে।

সংলাপে ওয়ার্কার্স পার্টি নির্বাচনের সময় সেনা মোতায়েনের বিপক্ষে মত দেয়। তাদের মতে, নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন নেই। তবে ক্ষেত্রবিশেষে কোনো কোনো স্থানে সেনা মোতায়েনের পক্ষে মত দেয় দলটি।

এ ছাড়া এবারের নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে নিজেদের অবস্থান জানায় ওয়ার্কার্স পার্টি। পাশাপাশি কালো টাকার ব্যবহার বন্ধ, রোহিঙ্গারা যাতে ভোটার হতে না পারে ও সীমানা পুনঃনির্ধারণ সহ ১২ দফা প্রস্তাব তারা সংলাপে তুলে ধরেন।

ইসি ঘোষিত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত ৩১ জুলাই নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যমের প্রতিনিধি সঙ্গে সংলাপে বসে ইসি। এর পর ২৪ আগস্ট থেকে রাজনৈতিক নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন।

সম্পর্কিত খবর