কাকরাইল মসজিদে তাবলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ

কাকরাইল মসজিদের সামনে পুলিশ।

কাকরাইল মসজিদে তাবলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

রাজধানীর কাকরাইল মসজিদে তাবলীগ-জামায়াতের দুপক্ষের মধ্যে ফের সংঘর্ষ হয়েছে। শনিবার রাতে হজ শেষে সাদপন্থী তাবলীগের মুরব্বিরা কাকরাইল মসজিদে প্রবেশ করতে গেলে এ সংঘর্ষ বাধে বলে জানা গেছে।

পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের অভিযোগ, শুরা সদস্য সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন মুরব্বি ও সাথীরা হজে গিয়েছিলেন।

শনিবার রাতে এশার নামাজের পর তারা কাকরাইল মসজিদে প্রবেশ করতে গেলে বাধার মুখে পড়েন। এ সময় কাকরাইল মসজিদের ভেতরে ছিলেন সাদবিরোধী পক্ষের মুরব্বি মাওলানা যোবায়ের। কাকরাইল মসজিদের ভেতরের মাদ্রাসার ছাত্ররা ও বহিরাগতরা এসে তাদের ওপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় মাওলানা মনির বিন ইউসুফ ও মোহাম্মদ উল্লাহসহ কয়েকজন আহত হয় বলে দাবি করেছেন সাদ অনুসারিরা।

মাওলানা আব্দুল্লাহ বলেন, ‘রাতে মসজিদের ভেতর থেকে কিছু লোক এসে মুরব্বিদের ওপর হামলা চালায়। তাদের ভেতরে প্রবেশে বাধা দেয়। হজ শেষে তারা দেশে এসে এ পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন। ’

তিনি বলেন, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ ও আনিসের নেতৃত্বে মুরব্বিদের ওপর এ হামলার খবর শুনে রাতেই কয়েকশ ভাই কাকরাইল এসে জড়ো হয়। এই হামলার প্রতিবাদ করে রাস্তায় অবস্থায় নেয় তারা। রাতে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।

ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন বলেন, সাদ অনুসারীরা মসজিদে জায়গা দখল করতে গিয়ে অনেকের ওপর হামলা করেছে। তারা ফোন দিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে বহিরাগতদের এনে এ হামলা চালায়। পরে মাওলানা ইউসুফ ও আবদুল্লাহ নিজেরাই নিজেদের পোশাক ছিঁড়ে সাংবাদিকদের দেখান। শনিবার রাত ও রোববার সকালে কাকরাইল মসজিদের সামনে এসে রাস্তা বন্ধ করে নানা স্লোগান দেন। এ সংঘর্ষ ইসলাম ও নন ইসলামের বলে মনে করেন তিনি।

রমনা জোনের সহকারী কমিশনার এহসানুল ফেরদৌস বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সমস্যার জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। দুপক্ষের লোকজন কমিশনার বরাবর অভিযোগ দিয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে বসে সমস্যার স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করছি।

উল্লেখ্য, গত বছর ডিসেম্বরে দুপক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ সমস্যা সমাধান করে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর