দাফনের ১১দিন পর জীবিত উদ্ধার গৃহবধূ!

থানায় বাবার সঙ্গে উদ্ধার হওয়া গৃহবধূ সাথী

দাফনের ১১দিন পর জীবিত উদ্ধার গৃহবধূ!

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

মরদেহ উদ্ধার ও দাফনের ১১দিন পর যশোরের চৌগাছার চাঁদপাড়া গ্রামের গৃহবধূ সাথী খাতুনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল যশোর সদরের জলকর গ্রামের আজিজুল লষ্করের বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।

এর আগে যশোর সরকারি সিটি কলেজ সংলগ্ন ডোবা থেকে গেল ২৯ আগস্ট গভীর রাতে এক নারীর লাশ উদ্ধার হয়। তখন ওই মরদেহ সাথীর বলে শনাক্ত করে তার বাবা চৌগাছার নায়ড়া গ্রামের আমজাদ হোসেন।

তবে সাথীকে জীবিত উদ্ধারের পর জানা যায় ওই লাশ তার ছিল না। পরকীয়া করে প্রেমিকের ধর্মপিতা আজিজুল লষ্করের জলকর গ্রামের বাড়িতে এতদিন সাথী লুকিয়ে ছিলেন।

সাথীর স্বামী চৌগাছা উপজেলার চাঁদপাড়া গ্রামের মোস্তফা সরদার। তাদের ৯ বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে।

পুলিশ সাথীকে উদ্ধার করে রোববার আদালতে পাঠায়। পরে অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আকরাম হোসেন তাকে তার বাবার জিম্মায় দেন।

সাংবাদিকদের সাথী জানান, চাঁদপাড়া গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে মান্নুর সাথে তার পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে। মান্নু বর্তমানে মালয়েশিয়া প্রবাসী। মোবাইল ফোনে তাদের কথা হতো। মান্নুর কথামতো জলকর গ্রামের আজিজুল লষ্করের বাড়িতে তিনি আত্মগোপন করেছিলেন।

সাথী আরও জানান, আজিজুল লষ্কর মান্নুর ধর্মপিতা। এর আগেও ভারতে গিয়ে চিকিৎসা করানোর কথা বলে আজিজুল লষ্করের বাড়িতে মান্নুর সাথে তিনি এক মাসের বেশি সময় কাটিয়েছেন।

গৃহবধূর ভাষ্য, ‘গত ১৪ জুলাই বাবার বাড়ি যাচ্ছি বলে শ্বশুরবাড়ি থেকে বের হয়েছিলাম। এরপর আমি আজিজুল লষ্করের বাড়িতে গিয়ে উঠি। ’

যশোর কোতয়ালি থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আমিরুজ্জামান জানান, ১৪ জুলাইয়ের পর থেকে সাথীর হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে ২৯ আগস্ট রাতে যশোরে সরকারি সিটি কলেজ এলাকা থেকে পলিথিন মোড়ানো এক নারীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই মরদেহের মুখমণ্ডল চেনা যাচ্ছিল না। তার বয়স ২৪ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে। লাশের শরীরে ছিল একটি গোলাপি রঙয়ের পেটিকোট এবং সাদা রংয়ের অন্তর্বাস। পরদিন ৩০ আগস্ট চৌগাছার নয়ড়া গ্রামের আমজেদ আলী লাশটি তার মেয়ে সাথীর বলে শনাক্ত করেন।

এসআই আমিরুজ্জামান আরও বলেন, হত্যারহস্য উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত করতে থাকে। এরই মধ্যে গোপন সূত্রে পুলিশ জানতে পারে সাথী খুন হননি। তিনি জীবিত আছেন এবং প্রেমিক মান্নুর ধর্মপিতা যশোর সদরের ইছালি ইউনিয়নের জলকর এলাকায় অবস্থা করছেন। ৪-৫ দিন আগে পত্রিকায় মরদেহের ছবি দেখে ওই এলাকার এক যুবক সাথীর সাথে মিল খুঁজে পান। পরে পুলিশ জানতে পেরে ওই গ্রামে গিয়ে সাথীকে উদ্ধার করে।


অরিন▐ NEWS24

সম্পর্কিত খবর