রাশিয়া বিশ্বকাপে সবকটি ম্যাচ খেলেছেন অলিভিয়ার জিরু। তার ফ্রেঞ্চ সতীর্থরা দুর্দান্ত খেলে দেশকে বিশ্বকাপ উপহার দিলেও পুরো টুর্নামেন্টে একটি গোলও করতে পারেননি জিরু। শুধু গোল নয়, লক্ষ্যের দিকে একটি শটও নিতে পারেননি ৩১ বছর বয়সী চেলসি স্ট্রাইকার। বিশ্বকাপ শেষে জার্মানির বিপক্ষে উয়েফা নেশনস লিগের ম্যাচেও নিষ্প্রভ ছিলেন জিরু,অ্যালিয়াঞ্জ এরিনায় কোনো রকমে ড্র করতে পেরেছিল ফ্রান্স।
অবশেষে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে কাজের কাজ করতে পেরেছেন জিরু। ফ্রান্স রক্ষা পেয়েছে তার করা গোলেই। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা নেদারল্যান্ডসকে হারিয়েছে ২-১ গোলে। দলের হয়ে অন্য গোল করেন বিশ্বকাপের উদীয়মান তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে।
ম্যাচের চতুর্দশ মিনিটেই প্রথম গোল পায় ফ্রান্স। নেদারল্যান্ডের খেলোয়াড় প্রোমেন্স হেড দিয়ে বল বাড়িয়েছিলেন সতীর্থের দিকে। কিন্তু মাঝে এসে বলের দখল নেন ব্লেসিং মাতুইদি। তিনি বল সামনে বাড়ান ফাঁকায় থাকা এমবাপ্পের দিকে। ১৯ বছর বয়সী এ তরুণের নিখুঁত শটে ম্যাচে লিড নেয় ফ্রান্স।
ভক্তদের উদ্দেশ্যে জিরুর ফ্লাইং কিস
প্রথমার্ধেই ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ পেয়েছিল দিদিয়ের দেশমের শিষ্যরা। কিন্তু আগের ১০ ম্যাচের ধারা বজায় রেখে আবারও গোল করতে ব্যর্থ হন জিরু। যদিও পরে দ্বিতীয়ার্ধে তার পা থেকেই আসে ম্যাচের জয়সূচক গোলটি। ১-০তে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ফ্রান্স।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে ৬৭ মিনিটে সমতাসূচক গোলটি করে নেদারল্যান্ডস। ডান দিকে সতীর্থ তেতের বাড়ানো বল ধরে ফ্রান্সের গোলরক্ষক আরিওলাকে পরাস্ত করেন বাবেল। তবে ৭ মিনিটের বেশি সমতা ধরে রাখতে পারেনি ডাচরা।
৭৪ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন জিরু। পরিবর্তিত খেলোয়াড় বেঞ্জামিন মেন্ডির বাম পাশ থেকে আসা ক্রসে পা ছুঁইয়ে ১১ ম্যাচ আর ১হাজার মিনিট পর ফ্রান্সের পক্ষে গোল করেন জিরু। এই গোলের মাধ্যমে ফ্রান্সের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় জিনেদিন জিদানকে পেছনে ফেলে চার নম্বরে উঠে এলেন তিনি।
ম্যাচের বাকি সময়ে বেশ কিছু আক্রমণ করেও গোল করতে ব্যর্থ হয় নেদারল্যান্ডস। ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি ফ্রান্স। ফলে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ২-১ গোলের স্বস্তির জয়েই শেষ হয় ম্যাচ।
সূত্র: মিরর অনলাইন, ইএসপিএন এফসি
অরিন▐ NEWS24
