চলতি অধিবেশনেই আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ এর অধীন ‘কওমি মাদরাসাসমূহের দাওরায়ে হাদিসের (তাকমিল) সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রির (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) সমমান প্রদান সংক্রান্ত আইন-২০১৮ সংসদে উত্থাপিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
তিনি বলেন, স্বল্প নোটিশে বিলটি উত্থাপন করায় বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম বিরোধিতা করলেও এই অধিবেশনেই এটি পাস করার চিন্তাভাবনা থেকে উত্থাপিত হয়েছে।
সোমবার রাতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর অনুমতি নিয়ে বিলটি উত্থাপন করেন শিক্ষামন্ত্রী।
বিরোধিতার জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা জানি এই অধিবেশন স্বল্প সময়ে শেষ হয়ে যাবে।
তাই প্রধানমন্ত্রীর (শেখ হাসিনা) অনুমতিতে তার নির্দেশেই বিলটি উত্থাপন করেছি।দিনের কার্যসূচির সম্পূরক সূচিতে বিলটি উত্থাপনের পর বিরোধিতা করে ফখরুল ইমাম বলেন, নিয়মানুযায়ী সাত দিন আগে নোটিশ দিয়ে বিল উত্থাপন করলে আমরা এর সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারতাম। তাই একটু সময় নিয়ে বিল উত্থাপন করা হলে ভালো হয়।
বিল পাশের ব্যাপারে স্পিকার বলেন, এই বিলটিকে যদি ‘ডিসক্রেশন’ (বিশেষ বিবেচনা) না দেওয়া যেতো, যদি স্বল্পতর নোটিশ না করা হতো, যদি সাত দিনের নোটিশ সময় বহাল রাখা হতো, তাহলে বিলটি এই অধিবেশনের ভেতর পাস করা কঠিন হয়ে যেতো।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে একাধিক ধারার ইসলামী শিক্ষা প্রচলিত আছে। কওমি মাদ্রাসাসমূহে প্রায় ১৫ লাখ শিক্ষার্থী শিক্ষা নেন। কিন্তু তাদের স্বীকৃত কোনো ডিগ্রি না থাকার ফলে শিক্ষা নেওয়ার পর তারা বাস্তব কাজে নিজেদের নিয়োজিত করতে পারেন না। তাই মাদ্রাসাসমূহের জন্য আইনটি করতে বিল নিয়ে আসা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিতে তার নির্দেশনায় বিলটি নিয়ে এসেছি। এটি স্বল্প সময়ের মধ্যে পাস করা প্রয়োজন। সে কারণেই স্পিকারের ক্ষমতা ব্যবহার করা হয়েছে।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)