টিভিতে লাইভ সম্প্রচারের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজকর্মী রীতা যতীন্দ্র।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্র জানায়, টেলিভিশনে সকালের লাইভ ‘টক শো’ ‘গুড মর্নিং জে অ্যান্ড কে’ চলছিল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজকর্মী রীতা যতীন্দ্র। সঞ্চালকের প্রশ্নের জবাবে ধীরে ধীরে কথা বলছিলেন রীতা।
এক পর্যায়ে হঠাৎ করেই তাঁর দুচোখ বুজে চেয়ারে এলিয়ে দেয় নিজের শরীর। ডান পাশে হেলে গেল মাথা। ডান হাতটাও খানিকটা নড়ে কোলের উপর পড়ে গেল। এরপর মাথা টলতে টলতে স্থির হয়ে পড়লেন।তার মৃত্যুর ৫৫ সেকেন্ডের এ ভিডিওটি ফেসবুকে শেয়ার করেছে জম্মু-কাশ্মীর টেলিভিশন। যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে গেছে।
ওই টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, শ্রীনগরে দূরদর্শনের স্টুডিয়ো থেকে সঙ্গে সঙ্গে রীতাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকেরা জানান- হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় রীতার।
লাইভ সম্প্রচারে উপস্থিত দূরদর্শনের এক কর্মী বলেন, অনুষ্ঠানে কথা বলার সময় হার্ট অ্যাটাক হয় রীতার। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে যাই আমরা। সেখানে বলা হয়, কিছুক্ষণ আগেই মৃত্যু হয়েছে রীতার।
ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক ওই টক শোয়ের সঞ্চালক লেখক জাহিদ মুখতার। তিনি বলেন, হতভম্ভ হয়ে গেছি। প্রথমে তো বুঝতেই পারছিলাম না, কী করব! দূরদর্শনের লোকজন সঙ্গে সঙ্গে ওঁকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যান। দর্শকদের জানিয়ে দেওয়া হয়, রীতা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এরপর ওই লাইভ টক শো চলতে থাকে।
পরে দুপুরে হাসপাতাল থেকে রীতার দেহ জম্মুতে নিয়ে যাওয়া হয়।
জম্মু-কাশ্মীরের অ্যাকাডেমি অব আর্ট, কালচার অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ়েস-এর প্রাক্তন সচিব রীতা। এছাড়াও তিনি একাধারে শিল্পী, লেখক ও সমাজকর্মী। সেই সঙ্গে রীতা ডোগরি ভাষায় গবেষণামূলক কাজকর্মের জন্যও খ্যাতিলাভ করেন রীতা।
দূরদর্শনের প্রাক্তন ডিরেক্টর সাবির মুজাহিদ বলেন, টেলিভিশনের অনুষ্ঠান চলাকালীন অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তবে দূরদর্শনের লাইভ অনুষ্ঠানে মৃত্যুর ঘটনা এই প্রথম!
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)