নড়িয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ভবনটিও পদ্মা-গর্ভে

নড়িয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পদ্মা গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে

নড়িয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ভবনটিও পদ্মা-গর্ভে

রতন মাহমুদ • শরীয়তপুর প্রতিনিধি

পদ্মার কড়াল গ্রাস প্রতিদিনই গিলে খাচ্ছে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার সরকারি-বেসরকারি ভবন ও মূলফৎগঞ্জ বাজারের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বহু লোকের সাজানো গোছানো ঘর-বাড়ি।

গেল রাতে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ভবনটির অধিকাংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হাসপাতাল ক্যাম্পাসের একটি আবাসিক ভবনে জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগ চালু রাখা হলেও হাসপাতালে প্রবেশের সড়কটি নদীতে তলিয়ে যাওয়ার ভয়ে কোনো রোগী চিকিৎসা নিতে আসছে না।

এই অবস্থায় মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৪টায় ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করতে আসেন পানিসম্পদমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘পদ্মা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্প’ নামে একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। পদ্মার পানি কমলেই প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে।

নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬৮ সালে নড়িয়া উপজেলা সদরের ৪ কিলোমিটার দূরত্বে মূলফৎগঞ্জ বাজার সংলগ্ন পূর্ব পার্শ্বে ৩০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়। ২০১৪ সালে ওই হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়।

হাসপাতাল ক্যাম্পাসে জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ ও আবাসিক ভবনসহ ১২টি পাকা ভবন রয়েছে।  

গেল রোববার সকাল থেকে উপজেলার প্রায় ৩ লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবার একমাত্র ৫০ শয্যার হাসপাতালটি গ্রাস করে সর্বনাশা পদ্মা। সোমবার রাতে নতুন ভবনটির ৭৫% পদ্মার গর্ভে হারিয়ে যায়।

কেদারপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ক্ষতিগ্রস্ত ঈমাম হোসেন দেওয়ান বলেন, ‘আমরা খুবই অসহায়। আমাদের আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। হাসপাতালটি ভাঙনের মুখে পড়ায় এ উপজেলার লোকজনের চিকিৎসা সেবা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আমরা সরকারের কাছে দ্রুত সময়ের মধ্যে নিরাপদ দূরত্বে হাসপাতালের কার্যক্রম চালু রাখার দাবি জানাচ্ছি। ’

নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মুনীর আহমেদ বলেন, সোমবার রাতে হাসপাতালের নতুন ভবনটির অধিকাংশ পদ্মা চলে গেছে। আমরা ভবনটি নিলামে বিক্রির জন্য মাইকিং করলেও কোনো লোক আসেনি ক্রয়ের জন্য। হাসপাতালের আরও ১১টি ভবন ঝুঁকিতে রয়েছে। ’


রতন▐ অরিন▐ NEWS24

সম্পর্কিত খবর