বাণিজ্যিকভাবে তিমি শিকারের ৩২ বছরের নিষেধাজ্ঞা উঠাতে অনুমতি চেয়েছিল জাপান। কিন্তু তাদের সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করলো স্তন্যপায়ী প্রাণী সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল হোয়েলিং কমিশন’।
কাল ব্রাজিলে ইন্টারন্যাশনাল হোয়েলিং কমিশনের সদস্যদের নিয়ে অনুষ্ঠিত একটি দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে তিমি শিকার নিয়ে একটি ভোটের আয়োজন করে সংস্থাটি। সেখানে তিমি শিকারের পক্ষে ভোট দেয় ২৭টি দেশ এবং এর বিপক্ষে ভোট দেয়।
ইন্টারন্যাশনাল হোয়েলিং কমিশনের সদস্য হয়েও এই ভোট কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেনি রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া এবং মোনাকো। শুধুমাত্র নরওয়ে এবং আইসল্যান্ডে যেখানে তিমি শিকার বৈধ। এই দুটি দেশ জাপানের পক্ষেই ভোট দিয়েছে।
তিমি শিকারের অনুমতি না পাওয়ার পর জাপানের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইন্টারন্যাশনাল হোয়েলিং কমিশনের সদস্যপদ নিয়ে মৌলিক পুনঃমূল্যায়ন করবে জাপান। ১৯৮৬ সালের ইন্টারন্যাশনাল হোয়েলিং কমিশন জাপানের বাণিজ্যিকভাবে তিমি শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক প্রাণী সংরক্ষণ সংস্থার পরিচালক পেট্রিক রামেজ এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এটা তিমিদের জন্য ভালো খবর। জাপানের নিদারুণ প্রস্তাব মেনে নিলে পেছনের দিকে যাওয়ার একটি বড় ধাপ হতো। জাপানের উচিত তিমির প্রতি বিশ্বের ঐক্যমতের সাথে একমত পোষণ করা। ’
সূত্র: আল জাজিরা
অরিন▐ NEWS24
